ওপেনিংয়ে নেমে দারুণ এক ফিফটি করলেন ফারজানা হক। অন্যরা ভালো করতে না পারায় পুঁজি যদিও বেশি বড় হলো না। তবে বোলাররা যথারীতি মেলে ধরলেন নিজেদের। আয়ারল্যান্ডকে আবার হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো উইমেন’স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ।
দুই দলেরই মূল টুর্নামেন্টে খেলা নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। আবু ধাবিতে রোববার ফাইনালে বাংলাদেশ জিতল ৭ রানে।
২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করে ১২০ রান। ৫৫ বলে ৭ চারে ৬১ রান করেন ফারজানা। দুই অঙ্কে যেতে পারেন আর কেবল রুমানা আহমেদ (২১)।
জবাবে ৭ উইকেটে ৫৮ রানের নড়বড়ে অবস্থান থেকে ৯ উইকেটে ১১৩ পর্যন্ত যেতে পারে আয়ারল্যান্ড।
শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে নামে টস জিতে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারে টানা দুটি করে চার মেরে এগিয়ে যান ফারজানা।
আরেক ওপেনার মুর্শিদা খাতুন টিকতে পারেননি। তার মতো ঠিক ৬ রান করে ফেরেন অধিনায়ক নিগার সুলতানাও।
তৃতীয় উইকেটে রুমানার সঙ্গে ৪৯ রানের জুটির পথে ফারজানা ফিফটি করেন ৪৪ বলে। কিন্তু এ জুটি ভাঙার পর নিয়মিত উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
রুমানা কিপারের গ্লাভসে ধরা পড়ার পর ফারজানা স্টাম্পড হয়ে ফেরেন পরের ওভারে। এরপর অন্যরা যোগ দেন আসা যাওয়ার মিছিলে।
শেষ ৫ ওভারে ২৯ রান তুলতে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় শুরু থেকেই উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারে গ্যাবি লুইসকে বোল্ড করে দেন সানজিদা আক্তার মেঘলা। পরে তিনি বোল্ড করেন ওর্লা প্রেনডেরগাস্টকে।
নাহিদা তার প্রথম ওভারেই শিকার ধরেন অ্যামি হান্টারকে ফিরিয়ে। রুমানা নিজের পরপর তিন ওভারে তুলে নেন ৩ উইকেট। মাঝে সোহেলি আক্তারের শিকার একটি।
ত্রয়োদশ ওভারে ৫৮ রনে ৭ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে যায় আইরিশরা। এরপর শেষের ব্যাটাররা লড়াই করলেও তা যথেষ্ট হয়নি। শেষ ওভারে ১৫ রানের প্রয়োজনে তারা নিতে পারে ৭।
২৪ বলে ২টি চারে সর্বোচ্চ ২৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন আর্লেনা কেলি।
২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সফলতম বোলার রুমানা। সানজিদা, নাহিদা ও সোহেলি নেন ২টি করে উইকেট।
এই আয়ারল্যান্ডকে হারিয়েই আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের সবগুলো জিতে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে অভিযান শেষ করল নিগারের দল।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় হবে ১০ দলের মূল আসর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ নারী দল: ২০ ওভারে ১২০/৮ (মুর্শিদা ৬, ফারজানা ৬১, নিগার ৬, রুমানা ২১, মোস্তারি ৬, রিতু ৯, সালমা ৪, লতা ০, নাহিদা ৩; ম্যাগুইয়ার ৩-০-১৭-০, রিচার্ডসন ৩-০-২১-১, কেলি ৪-১-১৭-২, প্রেনডেরগাস্ট ২-০-১৭-০, মারে ৪-০-২১-২, ডেল্যানি ৪-০-২৭-৩)
আয়ারল্যান্ড নারী দল: ২০ ওভারে ১১৩/৯ (হান্টার ৭, লুইস ৪, প্রেনডেরগাস্ট ৯, ডেল্যানি ১২, রিচার্ডসন ১৮, স্টোকেল ০, কাভানাহ ৬, ওয়ালড্রন ১৯, কেলি ২৮*, পল ১, মারে ১৩, ম্যাগুইয়ার ১*; সালমা ৪-০-২১-০, সানজিদা ৪-০-১৬-২, নাহিদা ৪-০-৩১-২, সোহেলি ৪-০-২০-২, রুমানা ৪-০-২৪-৩)
ফল: বাংলাদেশ ৭ রানে জয়ী ও চ্যাম্পিয়ন