ফেরার ম্যাচে উজ্জ্বল রাশিদ খান, তবে বিবর্ণ আফগানিস্তান

চোট কাটিয়ে চার মাস পর মাঠে ফিরে রাশিদ খান দুর্দান্ত বোলিং করলেও জিততে পারেনি তার দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2024, 04:49 AM
Updated : 16 March 2024, 04:49 AM

চার মাস- ক্রিকেটের আঙিনায় সময়টা কম নয় মোটেও। এই সময়ে জাতীয় দল আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে একের পর এক ম্যাচ খেলতে পারেননি রাশিদ খান। তবে লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকলেও তার ধার কমেনি যেন একটুও। চোট কাটিয়ে ফেরার ম্যাচে লেগ স্পিন তারকাকে দেখা গেল সেই চেনা চেহারায়। অধিনায়কেরও দুর্দান্ত বোলিংয়ের পরও অবশ্য আফগানিস্তান ম্যাচটি জিততে পারেনি ব্যাটিং ব্যর্থতায়।

রাশিদের ফেরার ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের কাছে ৩৮ রানে হেরেছে আফগানিস্তান। শারজাহতে প্রথম টি-টোয়েন্টি জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে আইরিশরা।

গত নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে ৪ ওভারে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রাশিদ। তবে তাকে ছাপিয়ে ম্যাচের নায়ক আরেক লেগ স্পিনার। আফগান মিডল অর্ডার গুঁড়িয়ে ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা আইরিশ লেগ স্পিনার বেন হোয়াইট।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আইরিশদের মোটামুটি ভালো শুরু এনে দেন পল স্টার্লিং ও অ্যান্ড্রু বালবার্নি। ১৪ বলে ২২ রান করা বালবার্নিকে ফিরিয়ে ৩৮ রানের জুটি থামান আজমাতউল্লাহ ওমারজাই।

পাওয়ার প্লে শেষে বোলিংয়ে এসে প্রথম ওভারে ৫ রান দেন রাশিদ। আবার তিনি আক্রমণে আসেন ১০ ওভারের পর। আইরিশদের রানের গতি তখন এমনিতেই কমে এসেছে। তাদেরকে আরও চেপে ধরেন রাশিদ। অভিজ্ঞ স্টার্লিংকে ২৫ রানে ফেরানোর পর প্রথম বলেই গুগলিতে বোল্ড করে দেন বিপজ্জনক কার্টিস ক্যাম্পারকে।

আরেকপ্রান্তে অভিষিক্ত নানগেয়ালিয়া খারোটেও দারুণ বোলিং করে বিপাকে ফেলে দেন আইরিশদের। তবে হ্যারি টেক্টর দারুণ খেলে উদ্ধার করেন দলকে।

তার উইকেটও অবশ্য পেতে পারতেন রাশিদ। কিন্তু শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ নিতে পারেননি ফাজালহাক ফারুকি। ১৭ বলে ১৯ রানে আউট হতে পারতেন যিনি, সেই টেক্টর শেষ পর্যন্ত করেন ৩৪ বলে অপরাজিত ৫৬। আয়ারল্যান্ড ২০ ওভারে তোলে ৭ উইকটে ১৪৯ রান।

নিজের শেষ ওভারের শেষ বলে আরেকটি উইকেটের দেখা পান রাশিদ। তিন দিন আগে ওয়ানডে অভিষেকে ৪ উইকেট শিকার করা ১৯ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার খারোটে এবার টি-টোয়েন্টি অভিষেকে ৪ ওভারে ১৬ রানে নেন ২ উইকেট।

রান তাড়ায় ইনিংসের প্রথম বলেই আফগানদের বড় ভরসা রাহমানউল্লাহ গুরবাজকে বিদায় করেন মার্ক অ্যাডায়ার। পরের ওভারে জশ লিটল ফিরিয়ে দেন সেদিকউল্লাহ আটাল ও আজমাতউল্লাহ ওমারজাইকে। দুই ওভারে তিন উইকট হারানোর ধাক্কা আর সেভাবে সামলে উঠতে পারেনি আফগানরা।

মিডল অর্ডারে কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেন কিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ ইসহাক (২২ বলে ৩২) ও ও অভিজ্ঞ মোহাম্মদ নাবি (২১ বলে ২৫)। তবে দুজনকেই থামান হোয়াইট।

এই লেগ স্পিনার পরে টানা দুই বলে আউট করেন অভিষিক্ত ইজাজ আহমাদ আহমাদজাই (১৬) ও খারোটেকে। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৪ উইকেটের স্বাদ পান ২৫ বছর বয়সী লেগ স্পিনার।

ব্যাটিংয়ে রাশিদ খান আটকে যান ৫ রানেই। ১৮.৪ ওভারে ১১১ রানে গুটিয়ে যায় আফগানরা।

হোয়াইটের পাশাপাশি দুর্দান্ত বোলিং করেন জশ লিটলও। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বাঁহাতি এই পেসার।

সিরিজের পরের দুই ম্যাচ রোববার ও সোমবার, শারজাহতেই।