ঝুলিতে কয়েকটি নতুন অস্ত্র যোগ করার পথে রশিদ

আফগানিস্তানের এই লেগ স্পিনার জানিয়েছেন, বছরের শুরুতে বাংলাদেশের বিপক্ষে নতুন দুয়েকটা ডেলিভারি ব‍্যবহার করেছিলেন।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2022, 04:12 PM
Updated : 18 August 2022, 04:12 PM

বোলিংয়ের নানা বৈচিত্র্য এমনিতেই আছে রশিদ খানের ঝুলিতে। যেসব দিয়ে বিশ্ব জুড়ে দাপট দেখিয়ে যাচ্ছেন আফগানিস্তানের এই লেগ স্পিনার। তবে এতেই তৃপ্ত হচ্ছেন না তিনি। আরও নতুন নতুন অস্ত্র দিয়ে সমৃদ্ধ করতে চান তার ভাণ্ডার। বলেছেন, লক্ষ্য পূরণে করে যাচ্ছেন পরিশ্রম।

তিন সংস্করণেই আফগানদের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি রশিদ। টেস্টে তার উইকেট ৩৪টি, ওয়ানডেতে ১৫৮টি ও টি-টোয়েন্টিতে ১১০টি। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার ১১২ উইকেটের চেয়ে বেশি আছে কেবল সাকিব আল হাসান (১২১) ও টিম সাউদির (১১৪)।

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি বোলার রশিদ। ৪৬৯ উইকেট নিয়েছেন ১৭.৮৯ গড় ও ওভারপ্রতি ৬.৩৯ রান দিয়ে। বিশ্বের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোয় তাই প্রচুর চাহিদা তার।

ক্যারিয়ারকে আরও সাফল্যে সমৃদ্ধ করতে নতুন নতুন ডেলিভারি রপ্ত করতে চান রশিদ। ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বললেন, আরও কয়েকটি ডেলিভারি নিজের অস্ত্রাগারে যোগ করার কথা।

“বিভিন্ন ডেলিভারি রপ্ত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এই মুহূর্তে সেগুলো কেবল নেটেই করছি, ম্যাচে প্রয়োগ করছি না। স্লো লেগ স্পিন, যেটা নিয়ে আমি কাজ করছি, পিএসএলে কয়েকবার করেছি এবং (গত ফেব্রুয়ারি-মার্চে) বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজেও। ভালোই হয়েছিল, তবে ওই বলের ওপর আমার আরও নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। যাতে ওই ডেলিভারিগুলোতে রান দেওয়ার বদলে আরও বেশি কার্যকর হতে পারি।”

“হ্যাঁ, নতুন কয়েকটি ডেলিভারি নিয়ে কাজ করছি। তবে সেগুলো আরও অনুশীলন করতে হবে, এরপর ম্যাচে প্রয়োগ করতে পারব। এই মুহূর্তে, এখন পর্যন্ত যেমন বোলিং করে আসছি, আমার মনে হয় এতেই হচ্ছে। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে আমি সেটার ওপরই নির্ভর করব। ধারাবাহিকতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”

তবে আপাতত বোলিংটাকে সাধারণই রাখতে চান রশিদ। যেসব ডেলিভারিতে নিজের নিয়ন্ত্রণ আছে সেগুলোই ব্যবহার করতে চান আসছে এশিয়া কাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।

“আমার কাছে এটা পরিষ্কার যে, বোলিংটাকে খুবই সাধারণ রাখা উচিত। আগামীকাল কী হতে চলছে, এটা নিয়ে খুব একটা ভাবি না। আজ কী ঘটছে, সেটায় মনোযোগ থাকে। একটা বিষয় আমার মাথায় সবসময় কাজ করে, ধারাবাহিকভাবে সঠিক জায়গায় বল করা। এতে আমার নিয়ন্ত্রণ আছে। যতক্ষণ এটা আমার মাথায় থাকে, সব কিছু খুব সহজ হয়ে যায়।”