বারবাডোজকে সহজেই হারিয়ে সিপিএল শিরোপা জ্যামাইকার

ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ও নিকোলসন গর্ডনের দারুণ বোলিংয়ের পর ব্র্যান্ডন কিংয়ের ঝড়ো ইনিংসে তৃতীয় শিরোপা জিতল দলটি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2022, 06:32 AM
Updated : 1 Oct 2022, 06:32 AM

এলিমিনেটর ও কোয়ালিফায়ার পেরিয়ে আসা জ্যামাইকা তালাওয়াহসই বাজিমাৎ করল শেষটায়। ফ্যাবিয়ান অ্যালেন ও নিকোলসন গর্ডন দারুণ বোলিংয়ে ফাইনালে লক্ষ্যটা রাখলেন নাগালে। ঝড়ো ইনিংসে বাকিটা সারলেন ব্র্যান্ডন কিং। বারবাডোজ রয়্যালসের বিপক্ষে অনায়াস জয়ে সিপিএলে নিজেদের তৃতীয় শিরোপা জিতল জ্যামাইকা।

গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় শনিবার সকালে শেষ হওয়া ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতেছে জ্যামাইকা। বারবাডোজের ১৬১ রান তারা পেরিয়ে গেছে ২৩ বল বাকি থাকতে।  

তৃতীয় এই শিরোপায় ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছে জ্যামাইকা। টুর্নামেন্টের সফলতম দল ত্রিনবাগো জিতেছে চার শিরোপা।

মাঠে নামার আগেই বড় একটা ধাক্কা খায় জ্যামাইকা। কুঁচকির চোটের জন্য হারায় টুর্নামেন্টে পাওয়ার প্লেতে দারুণ বোলিং করা মোহাম্মদ আমিরকে। টস হেরে বোলিংয়ের সময় তার অভাব প্রবলভাবেই অনুভব করে দলটি।

বারবাডোজকে ভালো শুরু এনে দেন রাকিম কর্নওয়াল ও কাইল মেয়ার্স। পাওয়ার প্লেতে আসে ৬৩ রান। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে কর্নওয়ালকে ফিরিয়ে বিপজ্জনক জুটি ভাঙেন অ্যালেন। কর্নওয়াল চার ছক্কা ও দুই চারে ২১ বলে করেন ৩৬।

আরেক ওপেনার মেয়ার্সকেও (৬ চারে ১৯ বলে ২৯) বিদায় করেন বাঁহাতি স্পিনার অ্যালেন। 

এরপর প্রায় একাই দলকে টানেন আজম খান। তাকে কিছুটা সঙ্গ দেন জেসন হোল্ডার। তৃতীয় উইকেটে ৪৮ রানের জুটিতে তার অবদান ১৯ বলে ১৭।

৩৯ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে পরের বলেই বিদায় নেন আজম। তিন ছক্কা ও চারে ৪০ বলে ৫১ করা ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট নেন অ্যালেন।

ডেথ ওভারে মিডল অর্ডারে ছোবল দেন গর্ডন। বিপজ্জনক নাজিবউল্লাহ জাদরানকে বিদায় করার পর শেষ ওভারে ধরেন জোড়া শিকার।

২৪ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন অ্যালেন। গর্ডন ৩ উইকেট নেন ৩৩ রানে।

রান তাড়ায় শুরুতেই কেনার লুইসকে হারায় জ্যামাইকা। দ্বিতীয় উইকেটে শামার ব্রুকসের সঙ্গে ৮৬ রানের জুটিতে দলকে দৃঢ় ভিতের উপর দাঁড় করান কিং।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ব্রুকস এবার ৩৩ বলে ছয় চার ও দুই ছক্কায় খেলেন ৪৭ রানের আরেকটি ভালো ইনিংস। তার বিদায়ের পর রভম্যান পাওয়েলকে নিয়ে বাকিটা সারেন কিং।

৫০ বলে এই ওপেনার দুই ছক্কা ও ১৩ চারে করেন ৮৩ রান। একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে চারশ ছাড়ানো রান করা এই ওপেনার জেতেন টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বারবাডোজ রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৬১/৭ (কর্নওয়াল ৩৬, মেয়ার্স ২৯, আজম ৫১, হোল্ডার ১৭, নাজিবউল্লাহ ৬, করবিন ৭, টমাস ৭, মুজিব ১*; প্রিটোরিয়াস ২-০-২৪-০, গ্রিন ২-০-২৩-০, ইমাদ ৪-০-১৮-১, অ্যালেন ৪-০-২৪-৩, গর্ডন ৪-০-৩৩-৩, নবি ৩-০-২৮-০, রিফার ১-০-৮-০)

জ্যামাইকা তালাওয়াহস: ১৬.১ ওভারে ১৬২/২ (কিং ৮৩*, লুইস ০, ব্রুকস ৪৭, পাওয়েল ১৪*; মেয়ার্স ২-০-১৪-১, বিশপ ৩-০-২৭-০, হোল্ডার ৩-০-১৪-১, সিমন্ডস ২-০-২৭-০, ম্যাককয় ২.১-০-১৭-০, মুজিব ৩-০-৪১-০, করবিন ১-০-১৭-০)

ফল: ৮ উইকেটে জিতে সিপিএল চ্যাম্পিয়ন জ্যামাইকা তালাওয়াহস

ম্যান অব দা ম্যাচ: ফ্যাবিয়ান অ্যালেন

প্লেয়ার অব দা টুর্নামেন্ট: ব্র্যান্ডন কিং