আস্থার প্রতিদান দিতে পেরে ‘খুব ভালো লাগছে’ মিরাজের

চার ম্যাচ পর টি-টোয়েন্টি একাদশে সুযোগ পেয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2023, 03:13 PM
Updated : 12 March 2023, 03:13 PM

সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার পর একাদশে জায়গা হারিয়ে ফেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বিশ্বকাপের বাকি তিন ম্যাচের পাশাপাশি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও মাঠে নামতে পারেননি। চার ম্যাচ বিরতি দিয়ে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করলেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার। দারুণ পারফরম্যান্সে দলকে জয় এনে দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন টিম ম্যানেজম্যান্টের প্রতি। 

ওয়ানডে বা টেস্টের মতো বিশ ওভারের ক্রিকেটে এখনও নিজেকে দলের অপরিহার্য সদস্যে পরিণত করতে পারেননি মিরাজ। ব্যাটিং বা বোলিং- কোনো বিভাগেই তেমন বলার মতো পারফরম্যান্স ছিল না তার। তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে দুই বিভাগেই কার্যকর অবদান রাখলেন ২৫ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। 

শামীম হোসেনের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়ে প্রথমে বল হাতে স্রেফ ১২ রানে ৪ উইকেট নেন মিরাজ। যা আন্তর্জাতিক তো বটেই টি-টোয়েন্টি সংস্করণেই তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। পরে ছোট লক্ষ্য তাড়ায় চাপের মধ্যে ২ ছয়ে ১৬ বলে ২০ রানের ক্যামিও খেলে এগিয়ে দেন দলকে।

এমন অলরাউন্ড নৈপুণ্যের পর ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার ম্যান অব ম্যাচ নির্বাচিত হন মিরাজ। ম্যাচ শেষে এই পুরস্কার গ্রহণ করে তিনি জানান, অনেক দিন পর খেলার কারণে মানিয়ে নিতে সময় লাগার কথা। 

“(ম্যাচ জেতায়) অবশ্যই অনেক খুশি। অনেক দিন পর আমি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমেছি। শুরুতে কিছুটা দ্বিধায় ভুগছিলাম। তবে টিম ম্যানেজম্যান্ট, অধিনায়ক, খেলোয়াড় সবাই আমাকে সমর্থন দিয়েছে।” 

পরে সংবাদ সম্মেলনেও টিম ম্যানেজম্যান্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এই অলরাউন্ডার। 

“আলহামদুলিল্লাহ। টিম ম্যানেজম্যান্ট আমার ওপর ভরসা করেছে। আমাকে খেলিয়েছে এই ম্যাচে। তারা মনে করেছে, আমি এই ম্যাচে খেললে দলকে কিছু একটা দিতে পারব, বিশেষ করে এই উইকেটে। তারা যে আমার ওপর বিশ্বাসটা করেছে, তার প্রতিদান দিতে পেরে নিজের কাছে খুবই ভালো লাগছে।” 

টস হেরে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে মিরাজকে ছয় নম্বরে বোলিং করান সাকিব আল হাসান। নবম ওভারে আক্রমণে এসে শেষ বলে মইন আলিকে ফেরান মিরাজ। নিজের শেষ দুই ওভারে আউট করেন স্যাম কারান, ক্রিস ওকস ও ক্রিস জর্ডানকে।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি রান খরচার ক্ষেত্রেও হিসেবি ছিলেন মিরাজ। ম্যাচ শেষে এ বিষয়ে জোর দেন তিনি।  

“প্রথম দিকে যে উইকেটগুলো নিয়েছি, অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল রানগুলো কম হওয়াতে। ওদের যতক্ষণ উইকেট নিয়েছি, এটা আমাদের জন্য বাড়তি সুবিধা (প্লাস পয়েন্ট) ছিল, রান কম হয়েছে।” 

১১৮ রানের লক্ষ্যে মিরাজকে প্রমোশন দিয়ে ৫ নম্বরে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। পরে ব্যাটিংয়ে আসেন সাকিব ও আফিফ হোসেন। দুই স্বীকৃত ব্যাটসম্যানের আগে নেমে দলকে সাহায্য করার মতোই ইনিংস খেলেছেন মিরাজ।  

সাকিব-আফিফের আগে ব্যাটিংয়ে নামার পেছনে দলীয় পরিকল্পনা জানান তিনি। 

“ব্যাটিংয়ে আমাদের দলের পরিকল্পনাই এমন ছিল। শান্ত ব্যাটিং করছিল, সাকিব ভাই নামলে দুজন বাঁহাতি হয়ে যেত। তাই পরিকল্পনাই ছিল যে ডানহাতি-বাহাতি কম্বিনেশন যেন করি। যেহেতু তৌহিদ হৃদয় আউট হয়ে গিয়েছে, তখন আমাকে সুযোগ দিয়েছে। আমাকে বলেছে স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলার জন্য। আমি চেষ্টা করেছি দলের জন্য, হয়তো ২০টা রান করেছি। দলের জন্য অনেক উপকার হয়েছে।”