সবচেয়ে বেশি বয়সে ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠার কীর্তি গড়েছেন আফগানিস্তানের এই ক্রিকেটার।
Published : 14 Feb 2024, 02:44 PM
লম্বা সময় ধরে ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে রাজত্ব চলছিল সাকিব আল হাসানের। এবার তাকে সরিয়ে সিংহাসন দখল করলেন মোহাম্মাদ নাবি। সঙ্গে আফগানিস্তানের সাবেক অধিনায়ক গড়লেন সবচেয়ে বেশি বয়সে এই সংস্করণে অলরাউন্ডারদের তালিকায় চূড়ায় ওঠার রেকর্ড।
বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা- আইসিসি বুধবার পুরুষ ক্রিকেটারদের র্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালানাগাদ প্রকাশ করেছে। সেখানে ৩১৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ওয়ানডের শীর্ষ অলরাউন্ডার নাবি। দুইয়ে নেমে যাওয়া সাকিবের রেটিং ৩১০।
৩৯ বছর ও এক মাস বয়সে আইসিসি ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠলেন নাবি। ২০১৫ সালের জুনে শ্রীলঙ্কার তিলকারাত্নে দিলশানের ৩৮ বছর ও ৮ মাস বয়সে চূড়ায় ওঠার রেকর্ড ভাঙলেন আফগান তারকা।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গত শুক্রবার প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে র্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ এগিয়েছেন নাবি। ওই ম্যাচে রান তাড়ায় ১৩৬ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন তিনি। এর আগে বোলিংয়ে ৪৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।
নাবির ওই পারফরম্যান্সে ২০১৯ সালের ৭ মে থেকে এক নম্বরে থাকা সাকিবকে সরতে হলো এবার। টানা ১ হাজার ৭৩৯ দিন শীর্ষে ছিলেন তিনি, যা এই সংস্করণে রেকর্ড। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক সব মিলিয়ে এক নম্বরে ছিলেন রেকর্ড ৪ হাজার ২৭৬ দিন, যা প্রায় সাড়ে ১১ বছরের বেশি!
ওয়ানডে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের পর সবচেয়ে বেশি দিন শীর্ষে ছিলেন ভারতের কিংবদন্তি কাপিল দেব। দুই দফায় ১ হাজার ৩৭৬ ও ১ হাজার ৩৭৫ দিন করে এক নম্বর ছিলেন বিশ্বকাপ জয়ী এই অধিনায়ক। সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৮১৬ দিন।
টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়েও এক নম্বর অলরাউন্ডার ছিলেন নাবি। এছাড়া আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন রাশিদ খান (ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বোলিং এবং ওয়ানডে অলরাউন্ডার) ও মুজিব উর রাহমান (টি-টোয়েন্টি বোলিং)।
ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ১১ ধাপ এগিয়ে ৭২তম স্থানে আছেন নাবি। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ১৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ১৯ ধাপ উন্নতি করেছেন আজমাতউল্লাহ ওমারজাই। তার অবস্থান এখন ৫৭।
দ্বিতীয় ম্যাচে অপরাজিত ৯৭ রান করে পাঁচ ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১৫তম স্থানে আছেন শ্রীলঙ্কার চারিথ আসালাঙ্কা। দেশটির প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি (২১০) করা পাথুম নিসাঙ্কার অগ্রগতি ১০ ধাপ, আছে ১৮ নম্বরে। দুই ম্যাচে ৪৫ ও ৫২ রান করে সাদিরা সামারাউইক্রামা ৬ ধাপ দিয়ে এখন ৪১তম স্থানে।
ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আগের মতোই সবার ওপরে পাকিস্তানের বাবর আজম। বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে যথারীতি শীর্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার কেশাভ মহারাজ।
আফগানদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৭ রানে ৪ উইকেট নেওয়া লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ১৪ ধাপ এগিয়েছেন। বোলারদের মধ্যে তার অবস্থান এখন ৩৬তম। তার সতীর্থ পেসার দিলশান মাদুশাঙ্কা ৪ ধাপ এগিয়ে ৩৩তম স্থানে।
টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ৫৫ বলে অপরাজিত ১২০ রান করে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ১১ ধাপ এগিয়ে এখন ২৪ নম্বরে। তার সতীর্থ ডেভিড ওয়ার্নার ও টিম ডেভিডেরও অগ্রগতি হয়েছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে জনসন চার্লস, শেরফেইন রাদারফোর্ড, আন্দ্রে রাসেলদের উন্নতি হয়েছে। আগের মতোই টি-টোয়েন্টির এক নম্বর ব্যাটসম্যান ভারতের সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। শীর্ষ বোলার ইংলিশ লেগ স্পিনার আদিল রাশিদ। অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে চূড়ায় সাকিব।