অমিতের সেঞ্চুরি, মাহমুদউল্লাহর ৭১, নাঈমের ৫ উইকেট

অগ্রণী ব্যাংককে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে টিকে রইল শাইনপুকুর।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2023, 02:09 PM
Updated : 7 May 2023, 02:09 PM

শুরুতে বিপদে পড়া দলকে টানলেন আব্দুল মজিদ ও মাহমুদউল্লাহ। দুইজনই খেললেন পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস। ফিফটি করলেন আরিফুল হকও। তাদের নৈপুণ্যে আড়াইশর কাছাকাছি গেল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। পরে বোলারদের সম্মিলিত চেষ্টায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে দারুণ জয় তুলে নিল ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।

ফতুল্লায় রোববার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগের ম্যাচে মোহামেডানের জয় ২০ রানে। ২৪০ রান নিয়ে তারা প্রতিপক্ষকে থামিয়ে দেয় ২২০ রানে।

১৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে মোহামেডান। সমান ম্যাচ খেলা গাজী গ্রুপ ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরে।

তিনটি করে ছক্কা-চারে ৭১ রান করা মাহমুদউল্লাহ পরে বোলিংও ছড়ান আলো। ৯ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে।

মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ১৩৩ রানের জুটিতে ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৬৩ রান করেন মজিদ। আরিফুল খেলেন ৬ ছক্কা ও ১ চারে ৫৫ রানের ইনিংস।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭ রানে টপ অর্ডার তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে মোহামেডান। খাদের কিনার থেকে দলকে টেনে তোলেন মাহমুদউল্লাহ ও মজিদ। ৭৮ বলে ফিফটি করেন মজিদ, মাহমুদউল্লাহর পঞ্চাশ আসে ৭৯ বলে।

মজিদকে ফিরিয়ে তাদের প্রতিরোধ ভাঙেন টিপু সুলতান। কয়েক ওভার পর মাহমুদউল্লাহকে ফেরান জয়নুল ইসলাম। এরপর কেবল লড়াই করেন আরিফুল।

রান তাড়ায় শুরুতে হোঁচট খেলেও ঘুরে দাঁড়ায় গাজী গ্রুপ। মেহেদি মারুফ ও ফরহাদ হোসেন গড়েন ৫৯ রানের জুটি। এই দুইজনের বিদায়ের পর এক প্রান্ত আগলে রাখেন মেহরব হাসান।

তার ব্যাটে জয়ের আশায় ছিল গাজী গ্রুপ। কিন্তু ইনিংসে একমাত্র ফিফটি করে মেহরব টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৩ ছক্কা ও ১ চারে করেন ৬৩ রান।

এরপর আর দলকে টেনে নিতে পারেননি আকবর আলি, জুবারুল ইসলামরা। শেষ দিকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে কাছে গিয়ে হারের হতাশা সঙ্গী হয় গাজী গ্রুপের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৪০/৯ (ইমরুল ২, রুবেল ১১, মাহিদুল ১, মজিদ ৬৩, মাহমুদউল্লাহ ৭১, আরিফুল ইসলাম ১২, আরিফুল হক ৫৫, এনামুল জুনি. ৪ খালেদ ৯, মুসফিক ০*; এনামুল ১০-০-৩৬-২, টিপু ১০-২-৩১-৩, জয়নুল ১০-০-৬৪-২, নিহাদুজ্জামান ১০-০-৪৬-১, মাহমুদুল ৭-০-৩৯-১, মেহরব ৩-০-২২-০)

গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৪৯ ওভারে ২২০ (মারুফ ৪২, শাকিল ৪, ফরহাদ ২৩, মেহরব ৬৩, মাহমুদুল ৯, আকবর ২৩, জুবারুল ১৮, এনামুল ১২, টিপু ৩, জয়নুল ৭*, নিহাদুজ্জামান ৩; নাজমুল ১০-১-২৪-২, এনামুল ৯-০-৬২-২, মুসফিক ১০-০-৩৯-২, খালেদ ৮-০-৪৩-২, মাহমুদউল্লাহ ৯-০-৩৭-১, আরিফুল ৩-০-১৩-১)

ফল: মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ২০ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: মাহমুদউল্লাহ

অমিতের সেঞ্চুরির পর নাঈম-মুরাদের বোলিং ঝলক

প্রিমিয়ার লিগে টিকে থাকার লড়াইয়ে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন অমিত হাসান। তার চমৎকার সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহ গড়ল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। পরে নাঈম আহমেদ ও হাসান মুরাদের ছোবলে লক্ষ্যের ধারেকাছেও যেতে পারল না অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।

বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে রেলিগেশন লিগের শেষ ম্যাচে ১৪০ রানে জিতেছে শাইনপুকুর। ৩১৬ রানের পুঁজি গড়ে অগ্রণী ব্যাংককে তারা গুটিয়ে দিয়েছে স্রেফ ১৭৬ রানে।

এই জয়ে প্রিমিয়ার লিগে টিকে রইল শাইনপুকুর। ১৩ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। শাইনপুকুরের সমান পয়েন্ট হলেও দলটির সঙ্গে দুই দেখায়ই হেরে যাওয়ায় প্রথম বিভাগে নেমে গেছে অগ্রণী ব্যাংক।

ইনিংস শুরু করতে নেমে ১০ চারে ১১৫ রানের ইনিংস খেলে শাইনপুকুরের জয়ের নায়ক অমিত। ৬৩ রান এসেছে খালিদ হাসানের ব্যাট থেকে।

দলের জয়ে বল হাতে বড় অবদান রাখেন নাঈম ও মুরাদ। দ্বিতীয় লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলতে নেমে ৪৩ রানে ৫ উইকেট নেন অফ স্পিনার নাঈম। বাঁহাতি স্পিনার মুরাদ মাত্র ১৯ রান দিয়ে ধরেন ৪ শিকার।

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শাইনপুকুরকে দারুণ শুরু এনে দেন জিসান আলম ও অমিত। ২ ছক্কা ও ৪টি চারে ৩৭ বলে ৪৭ রান করা জিসানের বিদায়ে ভাঙে ৭৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।

শ্রীলঙ্কান তারকা দিমুথ করুনারত্নে খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। অমিতকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে ১২০ রানের জুটি গড়েন খালিদ। তিনি ফেরেন ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৬৩ রান করে।

ক্যারিয়ারের চতুর্থ লিস্ট ‘এ’ সেঞ্চুরিতে অমিত পা রাখেন ১২৩ বলে। ৪৯তম ওভারে তিনি বিদায় নেন পেসার এনামুল হকের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে।

অগ্রণী ব্যাংকের ব্যাটিং লাইনআপে চতুর্থ ওভারে আঘাত হানেন নাঈম। দলটি সেই ধাক্কা সামাল দেয় সাদমান ইসলাম ও জহুরুল ইসলামের ৮০ রানের জুটিতে। ৭ চারে ৫২ রান করা জহুরুলকে বোল্ড করে তাদের প্রতিরোধ ভাঙেন হাসান মুরাদ।

এরপর আর তেমন কোনো জুটি গড়ে ওঠেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে অল্পে গুটিয়ে যায় অগ্রণী ব্যাংক। দলটির মিডল অর্ডারে ধস নামান নাঈম। মার্শাল আইয়ুব, শামসুল ইসলাম, ইলিয়াস সানি ও শরিফুল্লাহকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ৩১৬/৫ (অমিত ১১৫, জিসান ৪৭, করুনারত্নে ২১, খালিদ ৬৩, তাহজিবুল ১৯, মাহফিজুল ৩৩*, মাসুম ৩*; সানি ৬-০-৪৪-১, আবু হায়দার ৬-০-৪৯-০, ইলিয়াস ৫-০-২৯-১, এনামুল ৮-০-৫০-২, জাহিদ ৫-০-২৫-১, শরিফুল্লাহ ১০-০-৫৬-০, রোহিত ১০-০-৫৭-০)

অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪২.৪ ওভারে ১৭৬ (সাদমান ৩৬, জাহিদ ২, জহুরুল ৫২, রোহিত ১, মার্শাল ৩০, শামসুল ২১, ইলিয়াস ১০, শরিফুল্লাহ ৭, আবু হায়দার ৭, সানি ১*, এনামুল ৪; মাসুম ৭-১-২৮-০, নাঈম ১০-১-৪৩-৫, নাবিল ৮-০-২৪-০, মুরাদ ৭.৪-১-১৯-৪, জিশান ১০-০-৬১-০)

ফল: শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ১৪০ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: অমিত হাসান

রিপনের ছোবলের পর নাঈম শেখ-মাহমুদুলের ফিফটিতে আবাহনীর জয়

বল হাতে আলো ছড়ালেন রিপন মন্ডল। লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে অল্পে গুটিয়ে দেওয়ার পথে বড় অবদান রাখলেন এই পেসার। পরে মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ফিফটিতে অনায়াস জয় তুলে নিল আবাহনী লিমিটেড।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে আবাহনীর জয় ৪ উইকেটে। প্রতিপক্ষকে ২৩০ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৬০ বল বাকি থাকতে সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

১৩ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখল আবাহনী। সমান ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রূপগঞ্জ।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে রূপগঞ্জ ৩৫ রানে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বিপাকে পড়ে। সেই ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে পথে ফেরান ইরফান শুক্কুর ও ভারতের চিরাগ জানি। দুইজনে গড়েন ৮১ রানের জুটি।

১ ছক্কা ও ২ চারে ৫২ রান করেন ইরফান। ঠিক ৫০ রান করে ফেরেন চিরাগ। এরপর দলের হাল ধরে ৪৬ রান করেন জাওয়াদ রোয়েন। এই দুইজনের ইনিংসই গড়া ১ ছক্কা ও ৫ চারে।

মাশরাফি বিন মুর্তজা করেন ২৬ রান। এরপর আর কেউ তেমন কিছু করতে পারেননি। ৩০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে আড়াইশ পর্যন্তও যেতে পারেনি রূপগঞ্জ।

দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৪৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন আবাহনীর রিপন।

রান তাড়ায় এনামুল হক ও নাঈম শেখের উদ্বোধনী জুটিতে ৭২ রান পায় আবাহনী। ৩ চারে ৩৩ রান করা এনামুলকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান মাশরাফি। ১ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৬ রান করেন নাঈম শেখ।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আফিফ হোসেন এদিন আউট হন ৩৩ রান করে। মোসাদ্দেক হোসেন পারেননি দুই অঙ্কে যেতে। জাকের আলি পান গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ।

তবে এক প্রান্তে নিজের মতো খেলে ৮ চারে ৬৭ রান করেন মাহমুদুল। তিনি যখন ফেরেন, জয় তখন নিকটে আবাহনীর। বাকি পথ নিরাপদে পাড়ি দেন পাকিস্তানের খুশদিল শাহ ও নাহিদুল ইসলাম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৪৭.২ ওভারে ২৩০ (মুনিম ২, পারভেজ ১০, সাব্বির ৮, ইরফান ৫২, চিরাগ ৫০, রোয়েন ৪৬, মাশরাফি ২৬, সোহাগ ২, তানবির ১৮, মুক্তার ৮, হালিম ০*; নাহিদুল ৯-০-৪১-১, তানজিম ৮-০-৩৪-১, রিপন ৮.২-০-৪৫-৪, তানভীর ৭-০-৪২-১, মোসাদ্দেক ৫-০-২১-০, খুশদিল ১০-০-৪২-২)

আবাহনী লিমিটেড: ৪০ ওভারে ২৩৩/৬ (এনামুল ৩৩, নাঈম শেখ ৫৬, মাহমুদুল ৬৭, আফিফ ৩৩, মোসাদ্দেক ৭, জাকের ০, খুশদিল ২২*, নাহিদুল ১০*; সোহাগ ৫-০-৩৪-০, হালিম ৭-০-৫৪-১, রোয়েন ৭-০-২৩-০, মাশরাফি ৭-০-৪৬-১, তানবির ৭-০-৩৬-১, মুক্তার ৭-০-৩৮-৩)

ফল: আবাহনী লিমিটেড ৪ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: রিপন মন্ডল

সাইফের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জিতল শেখ জামাল

ইনিংস শুরু করতে নেমে সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেন সাইফ হাসান। শেষ পর্যন্ত অবশ্য না পাওয়ার হতাশা সঙ্গী হলো তার। পরে বল হাতেও আলো ছড়ান তিনি। তার অলরাউন্ড নৈপুণ্যে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে হারাল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জমজমাট ম্যাচটি ১৩ রানে জিতেছে শেখ জামাল। ২৭৬ রানের পুঁজি নিয়ে প্রাইম ব্যাংককে তারা থামিয়ে দিয়েছে ২৬৩ রানে।

৫ ছক্কা ও ৩ চারে ৮৩ রানের ইনিংস খেলে সাইফ পরে বল হাতে ২৬ রানে নেন ২ উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে তারই হাতে।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সাইফ ও সৈকত আলির শুরুর জুটিতে ৬৩ রান পায় শেখ জামাল। সৈকতের মতো ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি ফজলে মাহমুদ।

পাকিস্তানি অলরাউন্ডার কাশিফ ভাট্টির বলে বোল্ড হন সেঞ্চুরির আশা জাগানো সাইফ। এরপর দলকে টানেন নুরুল হাসান সোহান। অধিনায়ক ২ ছক্কা ও ৪টি চারে করেন ৫৩ রান।

শেষ দিকে তাইবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের কার্যকর ইনিংসে ২৭০ পার করে শেখ জামাল।

প্রাইম ব্যাংকের ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন ভারতীয় অলরাউন্ডার পারভেজ রসুল। ৪ রানে ফেরেন জাকির হাসান, রানের খাতা খুলতে পারেননি মোহাম্মদ মিঠুন।

১০ রানে ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন শাহাদাত হোসেন ও প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। দুইজনে গড়েন ১৩৬ রানের জুটি। তবে এক ওভারেই থিতু এই দুই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন সাইফ।

১ ছক্কা ও ৪টি চারে ৬৬ রান করেন শাহাদাত। প্রান্তিকের ৭৫ রানের ইনিংস গড়া ১ ছক্কা ও ৭ চারে। এরপর বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ। তবে বাকিদের ছোটছোট অবদানে জয়ের আশা জাগায় প্রাইম ব্যাংক।

শেষ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ৬ বলে ১৪ রান প্রয়োজন ছিল দলটির। শেখ মেহেদি হাসান ছিলেন উইকেটে, তাই আশায় ছিল প্রাইম ব্যাংক। কিন্তু শহিদুল ইসলামের প্রথম বলে রান নিতে না পারা মেহেদী দ্বিতীয় বলে ছক্কায় চেষ্টায় বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন। উল্লাসে মাতে শেখ জামাল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব: ৫০ ওভারে ২৭৬/৬ (সাইফ ৮৩, সৈকত ২৯, ফজলে মাহমুদ ৩৬, নুরুল ৫৩, পারভেজ ৮, তাইবুর ৩০, জিয়াউর ২৭*, শহিদুল ১*; রুবেল ৭-০-৫৪-০, মেহেদি ৯-০-৫৫-১, কাশিফ ১০-১-২৩-৩, কাপালী ৭-০-৫১-১, রাজা ৭-০-৫৬-১, নাসির ১০-০-৩৫-০)

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪৯.২ ওভারে ২৬৩ (শাহাদাত ৬৬, জাকির ৪, মিঠুন ০, প্রান্তিক ৭৫, নাসির ৮, আল-আমিন ৩৬, কাপালী ১৮, কাশিফ ১০, মেহেদি ৩৫, রাজা ৫, রুবেল ০*; শফিকুল ৬-০-৪৪-৩, রসুল ১০-০-৫৩-২, আরিফ ১০-০-৫৯-০, শহিদুল ৬.২-০-২৬-১, রবিউল ২-০-১৯-০, জিয়াউর ২-০-০-১০, সাইফ ৭-০-২৬-২, তাইবুর ৬-১-২৬-০)

ফল: শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ১৩ রানে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: সাইফ হাসান