বাংলাদেশের ক্রিকেটে দুজন ছাপ রাখতে শুরু করেছেন বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকেই। সময়ের পরিক্রমায় তারা এগিয়ে গেছেন সামনে। মিরাজ তো আবির্ভাবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট রাঙিয়ে এখন টেস্ট ও ওয়ানডেতে দলের নিয়মিত মুখ। আফিফও ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন সীমিত ওভারের বাংলাদেশ দলে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দুজনের নাম একই নিঃশ্বাসে উচ্চারিত হতে শুরু করেছে তাদের দারুণ জুটির কারণে।
গত মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ২১৬ রান তাড়ায় ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশ স্মরণীয় এক জয় পায় মিরাজ ও আফিফের ১৭৪ রানের অসাধারণ জুটিতে। গত রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আবার দলের বিপর্যয়ে দুজন গড়েন ৮৬ রানের জুটি।
দুটি জুটিতেই আফিফ ছিলেন অগ্রণী। প্রথমটিতে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৯৩ রানে, পরেরটিতে করেন ৭২।
উইকেটে একসঙ্গে সময় কাটিয়ে আফিফকে আরও ভালো করে চিনতে পারছেন মিরাজ, জানতে পারছেন আফিফের বোধ আর ভাবনার গভীরতা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বললেন, আফিফের সংস্পর্শে সমৃদ্ধ হচ্ছেন তিনিও।
“আফিফ খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে এবং সে খুব ভালো ক্রিকেটার বলে আমি মনে করি। ওর বোধ খুবই ভালো। ও যেখানে ব্যাট করে, সেখানে অনেক কিছু দেওয়ার আছে। আফগানিস্তান সিরিজে যেটা জিতেছিলাম, সেখানে অনেক ভালো ব্যাট করেছে। ওর ব্যাটিং দেখে আমারও অনেক আত্মবিশ্বাস এসেছে।”
“আফিফ সবসময় যেটা করে, সিম্পল থাকার চেষ্টা করে। যখন ব্যাটিং করে, ওই মুহূর্তটাকেই উপভোগ করার চেষ্টা করে। অনেক দূরের চিন্তা করে না। আমি মাঝেমধ্যে একটু দূরের চিন্তা করি। তখন ও আমাকে নিয়ন্ত্রণ করে যে, ‘ভাই, বেশি চিন্তা করার দরকার নেই। বর্তমানে থেকে যে ক্রিকেট চলছে, যে অবস্থান আছে, সেটা উপভোগের চেষ্টা করি।’ ওর সঙ্গে রানিং বিটুউন দা উইকেটও ভালো হয়। গেম প্ল্যানিং নিয়ে আমরা সবসময় কথা বলতে থাকি ম্যাচের ভেতর।”
আফিফ এখন ওয়ানডেতে ব্যাট করছেন সাত নম্বরে, আটে মিরাজ। দল বিপর্যয়ে পড়লেই কেবল বড় স্কোর গড়ার সুযোগ মেলে দুজনের, নইলে বেশির ভাগ ম্যাচেই তাদের কাছে দলের চাওয়া থাকে ভিন্ন। তারাও সেভাবে নিজেদের তৈরি করছেন বলে জানালেন মিরাজ।
“আফিফ আর আমি যেখানে ব্যাটিং করছি, এটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে দেখবেন যে, ওর ৩০ রান আমার ২০ রান দলের জন্য অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ। ও সেভাবে মানসিকভাবে প্রস্তুত হচ্ছে, আমিও সেভাবেই প্রস্তুত হচ্ছি। আমাদের বোঝাপড়া খুব ভালো।”