গতিময় ও বাউন্সি উইকেটের দেশ দক্ষিণ আফ্রিকায় এখনও পর্যন্ত ৬ টেস্ট ও ১৪ ওয়ানডে খেলে কোনো জয়ের অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের। সেখানে একটি জয় আছে বটে। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই জয়টি এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপর দেশটিতে ২০ ওভারের ক্রিকেটেও হারতে হয়েছে পরের ৭ ম্যাচ, যে তালিকায় আছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪টি হারও।
এবারের সফরে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ যদিও নেই। তিনটি ওয়ানডের সঙ্গে আছে দুটি টেস্ট। প্রথম ওয়ানডের ভেন্যু সেঞ্চুরিয়নে বুধবার প্রথমবারের মতো অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে উজ্জ্বল ওয়ানডেতেই। এই সংস্করণে সবচেয়ে ধারাবাহিক তারা, আত্মবিশ্বাসও থাকে বেশি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সবশেষ ওয়ানডে সিরিজেই হোয়াইটওয়াশ করেছে ভারতকে। সেটি মনে করিয়ে দিয়েই ডমিঙ্গো বললেন, সংস্করণটা ওয়ানডে বলেই বেশি আত্মবিশ্বাসী তারা।
“অবশ্যই আমরা এখানে আন্ডারডগ হিসেবে এসেছি, এখানে আগে কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। তবে আমাদের ওয়ানডে দল নিয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আমরা লম্বা সময় ধরে এই সংস্করণে ভালো খেলেছি। খেলোয়াড়রা তাদের ভূমিকা সম্পর্কে জানে। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি সিরিজ আশা করছি।”
“তবে দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্যই ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে। তারা সম্প্রতি ভারতকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে, তারা নিজেদের কন্ডিশনে খেলবে, যেখানে তাদের হারানো কঠিন। তারা ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে, আমাদের নামের পাশে আন্ডারডগ তকমাও ঠিক আছে। এটাই আমাদের বিশেষ কিছু করার সুযোগ দিচ্ছে। আমরা এমন কিছু করতে চাই, যা আগে কোনো বাংলাদেশ দল এখানে করতে পারেনি।”
সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্কে আগামী শুক্রবার প্রথম ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ।