ডোনাল্ড পরিচিত ছিলেন সাদা বিদ্যুৎ নামে। আর তাসকিন পণ করেছেন, গতির সঙ্গে কোনো আপোস নয়। দুই জনের একে অন্যের সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগারই কথা।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে পেস সহায়ক উইকেটে ডোনাল্ডের সঙ্গে কাজ করে তাসকিনের মনে হচ্ছে চমৎকার আবহ বিরাজ করছে বাংলাদেশ দলের ক্যাম্পে।
“মৌলিক ব্যাপারগুলো তো বলছেনই, সঙ্গে ভিন্ন ভেন্যুর ভিন্ন আচরণ বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। আজ আমরা ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে অনুশীলন করলাম। বললেন, ‘এটা অনেক হাই স্কোরিং গ্রাউন্ড।’ এখানে কেমন বোলিং করলে ভালো হয়- এগুলো নিয়েই আলাপ হয়েছে।”
“কৌশল অনুযায়ী ব্যাটারদের বল করতে হবে...নতুন বলে একরকম, মাঝখানের ওভারগুলোয় আরেকরকম, ডেথ ওভারে আরেকটু ভিন্নতা যুক্ত করতে হবে। এই মাঠে হাই স্কোরিং ম্যাচ হয়। মিক্সআপ বোলিং করতে হবে। ভালো লেগেছে অবশ্যই। আজ তো প্রথম দিন। এক দিনে তো কিছু বুঝা যায় না। তাও ভালো লেগেছে।”
কয়েক দিনের জন্য পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে যুক্ত হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক পেস বোলিং অলরাউন্ডার অ্যালবি মরকেল। সব মিলিয়ে দলে তিন জন দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ। যে দেশে খেলা, সেখানকার এত জন কোচ থাকায় বাড়তি সুবিধা দেখছেন তাসকিন।
“দলের পরিবেশ ভালো। সবাই চেষ্টা করছে। আশাবাদী... সহজ হবে না, তবে এভাবে সুন্দর প্রক্রিয়ায় থাকলে ভালো কিছু হবে। এক দিনে তো আর সব কিছু নিতে পারব না। সব তো বলে দিলে হবে না, মাঠে নিজেদের কাজে লাগানোর বিষয় আছে। তিনি যে ধারণা দিচ্ছেন সে অনুযায়ী আমরা অনুশীলন করছি।”
ব্যাটসম্যানদের সহায়তা করার জন্য এলেও বোলারদের সঙ্গেও কিছুটা কাজ করছেন মরকেল। সেই অভিজ্ঞতাও শোনালেন তাসকিন।
“কথা বলছিল বোলিংয়ের সময়- এই বল ভালো হচ্ছে, এভাবে ধারাবাহিকভাবে করো বা আরেকটু পরিবর্তন করলে ভালো হয়। দুজনের সাথেই তো আজ প্রথম দিন। আশা করছি, সামনে কিছু শিখতে পারব।”