ফেব্রুয়ারির সেরা শ্রেয়াস

মাস সেরার লড়াইয়ে প্রথমবার জায়গা পেয়েই বাজিমাত করলেন শ্রেয়াস আইয়ার। পুরুষ ক্রিকেটে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে জিতেছেন ফেব্রুয়ারির ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থের’ স্বীকৃতি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2022, 12:02 PM
Updated : 14 March 2022, 12:02 PM

গত মাসের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে সেরার লড়াইয়ের বিজয়ীদের নাম সোমবার ঘোষণা করে আইসিসি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভৃত্য অরবিন্দ ও নেপালের দিপেন্দ্র সিং আইরিকে পেছনে ফেলেছেন ভারতের এই ব্যাটসম্যান।

মেয়েদের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের অ্যামিলিয়া কার। সেরা হওয়ার পথে পেছনে ফেলেন ভারতের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মিতালি রাজ ও অলরাউন্ডার দীপ্তি শর্মাকে।

সাদা বলের ক্রিকেটে ফেব্রুয়ারি মাসটা দুর্দান্ত কেটেছে শ্রেয়াসের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ৮০ রানের ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে মাস শুরু করেন তিনি। এরপর ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৬ বলে ২৫ রান করে দলের জয়ে রাখেন অবদান।

বিরাট কোহলি, রিশাভ পান্তদের বিশ্রাম ও সূর্যকুমার যাদবের চোটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে শ্রেয়াস প্রমোশন পেয়ে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে তিন ম্যাচেই খেলেন অপরাজিত ৫৭, ৭৪ ও ৭৩ রানের ইনিংস। ১৭৪.৩৫ স্ট্রাইক রেটে ২০৪ রান করে হন সিরিজের সেরা খেলোয়াড়।

অ্যামিলিয়ার হাতে অর্জনটি ধরা দেয় ভারতের বিপক্ষে সিরিজে ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্সের সুবাদে। পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১১৭.৬৬ গড়ে ৩৫৩ রান করে তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তিনটি ফিফটির সঙ্গে ছিল একটি সেঞ্চুরি।

হাত ঘুরিয়ে ৭ উইকেট নিয়ে তার বোন জেস কারের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি ছিলেন সিরিজে নিউ জিল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। পাঁচটির দুটিতে ম্যাচ সেরা হওয়ার পাশাপাশি অ্যামিলিয়া জিতে নেন সিরিজ সেরার পুরস্কারও।

গত বছরের শুরু থেকে আইসিসি মাস সেরা ক্রিকেটারের স্বীকৃতি দেওয়া শুরু করেছে। আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় মাসের সেরা দুই ক্রিকেটার। ভোটিং একাডেমিতে আছেন জ্যেষ্ঠ ক্রীড়া সাংবাদিক, সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকাররা। তারা ভোট দেন ই-মেইলে, আইসিসির নিবন্ধিত সমর্থকদের ভোট দিতে হয় আইসিসির ওয়েবসাইটে।

সেরার রায়ে ভোটিং একাডেমির ভোট বিবেচনায় নেওয়া হয় শতকরা ৯০ ভাগ, সমর্থকদের ভোট বাকি ১০ ভাগ।