বেঙ্গালুরুতে মেগা নিলামের প্রথম দিন গত রোববার ১২ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে শ্রেয়াসকে দলে টানে কলকাতা। এই নিলাম থেকে কেনা তাদের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় তিনিই, এবারের আসরে দলটিতে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড়ও। ছাড়িয়ে গেছেন আন্দ্রে রাসেলকে। নিলামের আগে ১২ কোটি রুপিতে ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারকে ধরে রাখে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
কলকাতা বুধবার নতুন অধিনায়ক হিসেবে শ্রেয়াসের নাম ঘোষণা করে। ওয়েন মর্গ্যানের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি। মর্গ্যানের নেতৃত্বে গত আসরের ফাইনালে উঠে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে হেরেছিল দলটি। অধিনায়কের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ভালো ছিল না আসর জুড়ে। নিলামের আগে তাকে ছেড়ে দেয় কলকাতা। এমনকি নিলাম থেকে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজিই কেনেনি ইংল্যান্ডের সীমিত ওভারের অধিনায়ককে।
আইপিএলে অধিনায়ক হিসেবে শ্রেয়াসের সাফল্য বেশ ভালো। তার আগের ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালসকে পরপর দুই আসরে তোলেন প্লে-অফে- ২০১৯ সালে এলিমিনেটরে, পরের বছর ফাইনালে। ২০১৮ সাল থেকে দলটিকে নেতৃত্ব দেন তিনি।
গত বছরের মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে কাঁধে চোট পাওয়ায় আইপিএল থেকে ছিটকে যান শ্রেয়াস। দিল্লির অধিনায়কত্ব দেওয়া হয় রিশাভ পান্তকে। ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় মাঝপথে স্থগিত হয়ে যায় আইপিএল। পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আসর পুনরায় শুরু হলে দলে ফেরেন শ্রেয়াস। টিম ম্যানেজমেন্ট অবশ্য পান্তকেই অধিনায়ক হিসেবে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এবার নতুন ঠিকানায়ও অধিনায়কত্ব পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি ২৭ বছর বয়সী শ্রেয়াস।
“কলকাতা নাইট রাইডার্সের মতো একটি মর্যাদাপূর্ণ দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি খুবই সম্মানিত বোধ করছি। একটি টুর্নামেন্ট হিসেবে আইপিএল বিভিন্ন দেশ ও সংস্কৃতির সেরা খেলোয়াড়দের একত্রিত করে। খুব প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া দারুণ এই দলটিকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি আমি।”
বর্তমানে ভারতীয় দলের নিয়মিত মুখ শ্রেয়াসকে অধিনায়ক হিসেবে পেয়ে উচ্ছ্বসিত কলকাতার কোচ ও সাবেক নিউ জিল্যান্ড ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন ম্যাককালামও।
“ভারতের উজ্জ্বলতম ভবিষ্যৎ নেতাদের একজন শ্রেয়াস আইয়ারকে পেয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। আমি দূর থেকে শ্রেয়াসের খেলা ও তার অধিনায়কত্বের দক্ষতা উপভোগ করেছি। কলকাতা নাইট রাইডার্সে আমরা যে সাফল্য ও খেলার ধরন চাই, সে পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।”
সব মিলিয়ে আইপিএলে শ্রেয়াস নেতৃত্ব দিয়েছেন ৪১ ম্যাচে। তার মধ্যে জয় ২১টি ও হার ১৮টি। বাকি দুটি হয় টাই।