আক্ষরিক অর্থেই এখন ফরচুন বরিশালকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাকিব। সেটা যেমন ব্যাটিংয়ে, তেমনি বোলিংয়েও। শুরুটা অবশ্য তেমন ভালো ছিল না। বোলিং মোটামুটি ঠিকই ছিল, কিন্তু ভোগাচ্ছিল ব্যাটিং। সে সময় বাজে অবস্থায় ছিল বরিশালও।
প্রথম চার ম্যাচের স্রেফ একটিতে জয় ছিল বরিশালের। পরের পাঁচ ম্যাচ টানা জিতে উঠে এসেছে শীর্ষে। এর শেষ চারটিতেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন সাকিব।
শুরুটা চট্টগ্রামে। প্রিমিয়ার ব্যাংক খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৪১ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসের পর আঁটসাঁট বোলিংয়ে স্রেফ ১০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন সাকিব। পরের ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৫০ রানের সঙ্গে ভালো বোলিংয়ে ২৩ রানে ৩ উইকেট। টি-টোয়েন্টিতে ৪৫ ইনিংসের মধ্যে সেটাই ছিল তার প্রথম ফিফটি।
সিলেটে এসেও ধরে রাখেন ধারাবাহিকতা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ৫০ রান করার পর ২০ রানে নেন ২ উইকেট। টানা তিন ম্যাচে দেড়শর নিচে পুঁজি নিয়ে জেতে বরিশাল। সোমবার সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ১৯ বলে ৩৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংসের পর রান জোয়ারের ম্যাচে কেবল ২৩ রানে নেন ২ উইকেট।
১২ রানে ম্যাচ জেতার পর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়কের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন মুনিম। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ফিফটি করা এই ওপেনারের সাকিবে মুগ্ধতা যেন এখনও কাটছে না।
“তিনি এক কথায় সুপারম্যান। টানা চারটা ম্যাচে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন, যোগ্য হিসেবেই। তিনি যে ভূমিকা পালন করছেন, এটা অভাবনীয়। অধিনায়ক হিসেবে তিনি দারুণ, কোনো চাপ দেন না। সিম্পল রাখেন সব কিছু। আমরা অবশ্যই উনার কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করছি।”
টানা দুই ম্যাচে মুনিমের আলোয় ম্লান ছিলেন উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী ক্রিস গেইল। সিলেটের বিপক্ষে ক্যারিবিয়ান ওপেনারও ফিফটি করেন। তবে তিনি পঞ্চাশ স্পর্শ করেন ১৯তম ওভারে, ৪৩ বলে! গেইলসুলভ না হলেও এই ইনিংস দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মুনিম।
“আজ গেইল যেটা করেছে, সে পুরো ইনিংস ক্যারি করেছে। ও ক্রিজে থাকা মানেই প্রতিপক্ষের বোলারদের জন্য বাড়তি চাপ। তারওপর সাকিব ভাই একটা অসাধারণ ইনিংস খেলেছেন। ক্যামিও ইনিংস, সুন্দর। এরপর ডোয়াইন ব্রাভো নেমে ভালো ফিনিশ করেছে। এ কারণে আমাদের রান হয়েছে।”
“গেইল এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ও ক্রিজে থেকে ক্যারি করেছে, যে কারণে আমাদের রানটা অনেক দূর গেছে। নইলে আমাদের ফিনিশিংয়ের দিকে অনেক ঝামেলা হয়ে যেত। উইকেট পড়ে যেত, রান হতো না। আমি মনে করি, সে খুব ভালো কাজ করেছে।”