পাকিস্তানে যেতে তর সইছে না ফিঞ্চের

কদিন আগে প্যাট কামিন্স বলেছিলেন, পাকিস্তানে যেতে তৈরি দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার। অ্যারন ফিঞ্চের কথায়ও তাই ফুটে উঠছে। অস্ট্রেলিয়ার সাদা বলের নেতা বললেন, তিনি উন্মুখ হয়ে আছেন পাকিস্তানে খেলার জন্য। সফরের জন্য শক্তিশালী দল পাওয়ার প্রত্যাশা তার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2022, 03:18 PM
Updated : 5 Feb 2022, 03:26 PM

১৯৯৮ সালের পর আর পাকিস্তানে খেলেনি অস্ট্রেলিয়া। এর মাঝে অবশ্য বেশ কবার নিরপেক্ষ ভেন্যুতে দেখা হয়েছে দুই দলের। দুই যুগ পর আবারও পাকিস্তানে খেলার সুযোগ অস্ট্রেলিয়ার সামনে। আগামী মার্চ-এপ্রিলের সিরিজটির বিষয়ে শুক্রবার নিশ্চিত করেছে দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে ২৫টি ম্যাচ খেলেছেন ফিঞ্চ। এর মধ্যে কেবল ঘরের মাঠে দলটির মুখোমুখি হয়েছেন ৪ ম্যাচে, বাকি সব নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। ২০১৮ সালে ফিঞ্চের টেস্ট অভিষেকও হয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে, কিন্তু সেটা দুবাইয়ে।

এবার নতুন অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে ফিঞ্চের। মেলবোর্ন থেকে স্টারস্পোর্টকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার বললেন, পাকিস্তান সফরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন তিনি।

“পাকিস্তানে সাদা বলের ক্রিকেট খেলতে যেতে তর সইছে না আমার। এই অঞ্চল অনেক দিন ধরেই (আন্তর্জাতিক) ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত। পাকিস্তান যখন ক্রিকেট জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে থাকে, গোটা ক্রিকেট বিশ্বের জন্যই তা দারুণ ব্যাপার।”

২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর এমনিতেই লম্বা সময় ধরে পাকিস্তানে হয়নি কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। সময়ের সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ আয়োজন করেছে দেশটি।

ইংল্যান্ড ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে গত বছর দেশটিতে হওয়ার কথা ছিল সিরিজ। কিন্তু নিউ জিল্যান্ড শেষ মুহূর্তে এসে নিরাপত্তা শঙ্কায় দেশে ফিরে যায়, পরে ইংল্যান্ডও আর যায়নি পাকিস্তানে। নতুন সূচিতে চলতি বছর আবারও দেশটিতে সফরের পরিকল্পনা করছে ইংলিশরা।

সব কিছু ঠিক থাকলে তাদের আগেই পাকিস্তানে খেলে যাবে অস্ট্রেলিয়া। ফিঞ্চের মতে, পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আয়োজন ধারাবাহিক করতে সব ধরনের চেষ্টা থাকবে তাদের।

“বিশ্বজুড়ে খেলাটিকে যতটা সম্ভব স্থিতিশীল অবস্থায় রাখা নিশ্চিত করতে আমাদের সবকিছু করতে হবে। যদি সেটা না করি তাহলে আমরা খেলাটির ক্ষতি করব। আমি যতদূর জানি, পূর্ণ শক্তির পুল থেকেই আমরা দল বাছাই করতে পারব।”

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে পৌঁছাবে অস্ট্রেলিয়া। দুই দলের লড়াই শুরু আগামী ৪ মার্চ, রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট দিয়ে। লাল বলের পরের দুই ম্যাচ শুরু ১২ মার্চ করাচিতে ও ২১ মার্চ লাহোরে। সিরিজটি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।

তিন ওয়ানডের প্রথমটি হবে ২৯ মার্চ। পরের দুটি যথাক্রমে ৩১ মার্চ ও ২ এপ্রিল। এই তিন ম‍্যাচ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ।

একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি মাঠে গড়াবে ৫ এপ্রিল। সীমিত ওভারের চারটি ম্যাচই হবে রাওয়ালপিন্ডিতে।