অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে যখন ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিতে এলেন সাকিব, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে তখনও যেন ছড়িয়ে আছে মুজিবের জাদুকরি বোলিংয়ের রেশ। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে, শিশির ভেজা বলে ৪ ওভারে তার শিকার ৩ উইকেট, স্রেফ ৯ রান দিয়ে!
সাকিবের ফিফটি ও ৩ উইকেটের অলরাউন্ড নৈপুণ্যের সঙ্গে মুজিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৪৫ রানের পুঁজি নিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ১৪ রানে হারায় বরিশাল।
এই ম্যাচেই শুধু নয়, প্রতি ম্যাচেই স্পিনের মায়াজালে মুজিব বিভ্রান্ত করছেন প্রতিপক্ষকে। আফগানিস্তান জাতীয় দলের হয়ে খেলা শেষে এই চট্টগ্রাম পর্ব থেকেই দলে যোগ দেন তিনি। প্রথম ম্যাচে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে তার ছিল ২ উইকেট। পরের ম্যাচে উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন মাত্র ১৩ রান।
ঢাকায় তিন ম্যাচের দুটিতেই হেরে যাওয়া বরিশাল চট্টগ্রাম জিতে নেয় তিন ম্যাচের প্রতিটিই। দলের এই বদলে যাওয়ায় মুজিবের বড় অবদান দেখছেন সাকিব।
“সে বিশ্বমানের বোলার। আমাদের দলে আসার পর থেকেই সে অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে! আমরা এখন বলি যে প্রতিপক্ষের জন্য ১৬ ওভার আছে, ২০ ওভার নয়।”
সাকিব নিজেও টানা দুই ম্যাচে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে পেলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। চট্টগ্রামের বিপক্ষে মঙ্গলবার ৩১ বলে ৫০ রানের ইনিংসে দীর্ঘ একটি অপেক্ষার অবসানও হলো তার। টি-টোয়েন্টিতে ফিফটির দেখা পেলেন প্রায় আড়াই বছর ও ৪৫ ইনিংসের অপেক্ষার পর!
নিজের ব্যাটিংয়ে স্বস্তি থাকলেও দলের ব্যাটিং নিয়ে কিছু অস্বস্তি আছে তার। তবে সেটিরও ইতিবাচক দিক দেখছেন বরিশাল অধিনায়ক।
“আগের ম্যাচটি থেকে বেশ আত্মবিশ্বাস অনুভব করছি। দলও গুছিয়ে উঠছে। সবাই জানে দলে কার কী করতে হবে। একটু তাই রিল্যাক্সড এখন।”
“দুটি জায়গায় আমরা ভালো করতে পারছি না। শুরুতে পাওয়ার প্লেতে ঠিকঠাক হচ্ছে না পারফরম্যান্স, শেষেও ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না। এই দুই জায়গায় আমরা এখনও উন্নতির পথ খুঁজছি। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এসব হয়ই। ভালো ব্যাপার হলো, নিজেদের সেরাটা না খেলেও আমরা জিতে চলেছি।”