তার জন্য অবশ্য এটা নতুন কিছু নয়। চট্টগ্রামের এই মাঠে বিপিএলে দুই আসর মিলিয়ে নিজের সবশেষ চার ম্যাচের তিনটিতে জিতলেন সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার। যেটিতে পাননি সেটিতেও ৩ ওভারে কেবল ১৬ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ১ উইকেট।
এবার বিপিএলের ঢাকা পর্বে বরিশালের তিন ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি তিনি। একাদশে প্রথম জায়গা পেলেন চট্টগ্রামে এসেই। প্রিয়প্রাঙ্গনে নিজের উপস্থিতি জানান দিতে সময় নিলেন না একটুও। প্রিমিয়ার ব্যাংক খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে শনিবার ১৭ রানের জয়ে বড় অবদান তার। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে নেন ১৭ রানে ৪ উইকেট।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রানা বললেন, এই মাঠের সঙ্গে তার বিশেষ সম্পর্ক হয়ে গেছে।
“অনুভূতি বলতে, এই মাঠে আমি আরও অনেকগুলো ম্যাচ খেলেছি। বিপিএলে চারটা ম্যাচ খেলেছি, দুইটায় ‘ম্যান অব দা ম্যাচ’ হয়েছি। আজকে খেললাম, আজকেও হয়েছি। সব মিলিয়ে, এই মাঠে আমার সব কিছু ভালো হচ্ছে।”
শুধু এই মাঠে নয়, এই টুর্নামেন্টেও সবকিছু ভালো হচ্ছে মেহেদি রানার। বিপিএলের ২০১৯ সালের আসরে চমক জাগানো বোলিংয়ে দেশের ক্রিকেটে তিনি নিজেকে মেলে ধরেন নতুন ভাবে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ১৮ উইকেট নিয়ে ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকায়। চারের বেশি উইকেট শিকারি বোলারদের মধ্যে তার স্ট্রাইক রেট (১২.৬) ছিল সবচেয়ে কম।
পরে আবাহনীর হয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে ঠিক একই স্ট্রাইক রেটে ১১ ম্যাচে নেন ১৮ উইকেট।
তবে এই দুই টুর্নামেন্টের মাঝে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ তার ভালো কাটেনি। ৬১ গড়ে নিতে পারেন কেবল ১ উইকেট। ওভার প্রতি খরচ করেন ৮.৭১ রান।
সেই বোলিংয়ের পর খেটেখুটে নিজেকে প্রস্তুত করেন পরের চ্যালেঞ্জের জন্য। ২৫ বছর বয়সী পেসার জানালেন, অনেক পরিশ্রমের ফসল এই পারফরম্যান্স। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বালাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) খেলার সময় কোচ মাহবুব আলি জাকির সঙ্গে বোলিং নিয়ে কাজ করার কথাও বললেন আলাদা করে।
“গত দেড় মাস যে আমি বিসিএলে খেলেছি, সেখানে জাকি স্যার ছিলেন। উনার সঙ্গে কাজ করেছি, ওয়াইড ইয়র্কার নিয়ে, স্লোয়ার নিয়ে। এর সঙ্গে ইনসুইং নিয়েও কাজ করেছি। (চট্টগ্রামে শনিবার) উইকেটের যে ধরন ছিল, আমার মনে হয়েছে, এখানে স্লোয়ারই বেশি কার্যকর হবে। আমি সেটাই করেছি।”
পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ আমিরকে ‘আইডল’ মানা মেহেদি রানার চোখ চূড়ায়। হতে চান আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী।
“নিজেকে নিয়ে যেতে চাই তো অনেক দূর। লক্ষ্য তো একটাই থাকে, সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া। প্রতিটি টুর্নামেন্টে আমার এই লক্ষ্য থাকে। এই টুর্নামেন্টে বাকি যে ম্যাচগুলো আছে, যদি ‘ম্যাচ বাই ম্যাচ’ চিন্তা করি, তাহলে সর্বোচ্চ উইকেট নিতেও পারি।”