বোলিংয়ে নতুন অস্ত্র যোগ করা নিয়ে অনেক দিন ধরেই কাজ করছিলেন মুস্তাফিজ। বিশেষ করে, ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য বল ভেতরে আনা পুরোপুরি রপ্ত করতে কাজ করছেন কোর্টনি ওয়ালশ বাংলাদেশ দলের বোলিং কোচ থাকার সময় থেকেই। রোডস তখন ছিলেন প্রধান।
সেই সময় মুস্তাফিজ পেরে ওঠেননি খুব একটা। তবে এই ডেলিভারিতে তার উন্নতি দেখা গেছে ওটিস গিবসন বোলিং কোচের দায়িত্ব পাওয়ার পর। রোডস আর ততদিনে বাংলাদেশের কোচ নেই। গিবসনের সঙ্গে কাজ করে মুস্তাফিজের বোলিংয়ে উন্নতির ছাপ দেখা যায় স্পষ্টই।
যদিও তার বোলিংয়ে উইকেটে সহায়তা পাওয়া এখনও গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। নিষ্প্রাণ ও ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে তার কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ। তবে বোলিংয়ে নতুন অস্ত্র যোগ হওয়াও দৃশ্যমান। বিশেষ করে, ওভার দা উইকেট ও রাউন্ড দা উইকেট, দুই অ্যাঙ্গেল থেকে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য বল ভেতরে আনতে পারছেন তিনি এখন।
এবারের বিপিএলে কুমিল্লার প্রথম ম্যাচেই যেমন, রাউন্ড দা উইকেটে করা তার একটি ডেলিভারি অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে পিচ করে তীক্ষ্নভাবে অনেকটা ভেতরে ঢুকে উড়িয়ে দেয় মুক্তার আলির বেলস।
দুই ম্যাচে কুমিল্লার দুই জয়ের পর রোডস বললেন, মুস্তাফিজের বোলিং এখন আরও সমৃদ্ধ মনে হচ্ছে তার কাছে।
“আমরা সবাই জানি ফিজ কী করতে পারে। তবে আমি যখন এখানে ছিলাম, সেই সময় থেকে এখন ওর মধ্যে পার্থক্য দেখছি। সে এখন আরও ভালো বোলার, কারণ ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্য সে কিছু ব্যাপারে উন্নতি করেছে।”