সিলেটের নেতৃত্বে মোসাদ্দেক, চট্টগ্রামের অধিনায়ক মিরাজ

দল গঠনে দেশি-বিদেশি বড় তারকাদের পেছনে ছোটেনি এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির কোনোটিই। সিলেট সানরাইজার্স দল গড়েছে মূলত ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরমারদের নিয়ে, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স জোর দিয়েছে তারুণ্যে। দুই দলের নেতৃত্ব বাছাইয়েও পড়ল সেই ভাবনারই প্রতিফলন। এবারের বিপিএলে সিলেটের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন, চট্টগ্রামের নেতৃত্বে মেহেদী হাসান মিরাজ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2022, 04:20 AM
Updated : 20 Jan 2022, 01:45 PM

সিলেট সানরাইজার্সের জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে বুধবার রাতে অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করা হয় মোসাদ্দেকের নাম। একই রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়ক হিসেবে মিরাজের নাম জানায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

দুজনেরই বিপিএলে এটি হতে যাচ্ছে নেতৃত্বের দ্বিতীয় অভিজ্ঞতা। এর আগে ২০১৯-২০ আসরে সিলেটের আরেক ফ্র্যাঞ্চাইজি সিলেট থান্ডারের নেতৃত্বে ছিলেন মোসাদ্দেক। ২০১৯ বিপিএলে রাজশাহী কিংস দলের অধিনায়ক ছিলেন মিরাজ।

মোসাদ্দেকের নেতৃত্বে সম্প্রতি বিসিএলের একদিনের ম্যাচের টুর্নামেন্ট জিতেছে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। এছাড়াও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী লিমিটেডের মতো শীর্ষ দল এবং জাতীয় লিগে নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা তার আছে। এবার সিলেটের নেতৃত্ব পেয়ে তিনি জয়গান গাইলেন দলীয় একতার।

“এটা আমার দ্বিতীয়বার সিলেটের অধিনায়কত্ব করা। আপনারা সবাই আমাদের সমর্থন করবেন, যেন ভালো ফল আনতে পারি। আমাদের দলে রোমাঞ্চকর সব ক্রিকেটার আছে। সবশেষ কয়েকদিন আমরা খুব ভালো অনুশীলন সেশন করেছি। আমরা খুবই আশাবাদী।”

“আমরা আশা করব দল হিসেবে পারফর্ম করার। আমাদের স্থানীয় ক্রিকেটার যারা আছেন, আমরা জানি তারা সবাই ঘরোয়া ক্রিকেটে কেমন পারফর্মার। দেশের ক্রিকেটে আমরা সবাই অনেকবার প্রমাণ করেছি তা। আমি আশা করব, দল হিসেবে খেলতে পারলে ভালো ফল আনতে পারব।”

মিরাজ দুটি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন। ২০১৪ আসরে দল খুব ভালো না করলেও তার নেতৃত্বে দেশের মাঠে ২০১৬ বিশ্বকাপে তৃতীয় হয় বাংলাদেশ, তখনও পর্যন্ত যা ছিল এই পর্যায়ে দেশের সেরা সাফল্য। সময়ের পরিক্রমায় এখন তিনি জাতীয় দলের প্রতিষ্ঠিত ক্রিকেটার।

বিপিএলে মিরাজ আগে তিন আসরে খেলেছেন রাজশাহী কিংস দলে, একবার খুলনা টাইগার্সে। চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজিতে খেলবেন তিনি প্রথমবার। নতুন এই চ্যালেঞ্জে তারুণ্যের শক্তিতেই এগিয়ে যেতে চান তিনি, সঙ্গে পাশে চাইলেন দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের।

“এই বছর আমি চট্টগ্রামে প্রথম খেলছি। তারা যে সম্মান আমাকে দিয়েছে, আমি চেষ্টা করব সর্বোচ্চটা দেওয়ার জন্য। এই বছর যে দল করা হয়েছে, খুব ভালো দল হয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে দলটা গড়া হয়েছে। প্রতিশ্রুতিশীল যারা, বাংলাদেশকে সামনে নেতৃত্ব দিতে পারবে, তাদের নিয়ে করা হয়েছে দল। তরুণদের ওপর যে বিশ্বাস রাখা হয়েছে, সেই চ্যালেঞ্জ আমাদের নিতে হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব।”

“পাশাপাশি বেশ কজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও আছেন, যারা বাংলাদেশকে অনেক দিন সার্ভিস দিয়েছেন, এনাম ভাই (এনামুল হক জুনিয়র), নাঈম ভাই (নাঈম ইসলাম) আছেন, তাদের কাছেও আমি সহায়তা চাচ্ছি। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করব যেন দলকে ভালো জায়গায় দাঁড় করাতে পারি।”