এই তালিকা নিউ জিল্যান্ডের হয়ে ৩০০ টেস্ট উইকেট শিকারির। বাংলাদেশের বিপক্ষে চলতি ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে যে ক্লাবের সদস্যপদ পেয়েছেন বোল্ট।
৩০০ উইকেট হতে তার প্রয়োজন ছিল ৪ উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজকে বোল্ড করে সেই লক্ষ্য পূরণ হয়ে যায়। পরে আরও একটি উইকেট যোগ করে তিনি ইনিংস শেষ করেন ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়ে।
দিনের খেলা শেষ সংবাদ সম্মেলনে বোল্ট শোনালেন মাইলফলক ছুঁয়ে তার অনুভূতির কথা। আরও উদযাপন করতে চান তিনি ম্যাচটি জিতে।
“অবশ্যই এটির মূল্য অনেক। আগামী কয়েক দিনে হয়তো ব্যাপারটি হজম হবে আস্তে আস্তে। কঠোর পরিশ্রম, ফিটনেস ও পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বের হাত ধরে এমন একটি অর্জন আসে। আজকে বিকেলে মাঠে টিমিকে (টিম সাউদি) আমার পাশে পাওয়াও ছিল দারুণ।”
“স্যার রিচার্ড (হ্যাডলি) ও ড্যানিয়েলের (ভেটোরি) মতো নামগুলির পাশে থাকতে পারা অবশ্যই স্পেশাল। টেস্ট ম্যাচটি জিততে পারলে ও সিরিজে ফিরতে পারলে আরও স্পেশাল হবে। এই মুহূর্তে সেদিকেই মানোযোগ।”
এমন অর্জনের সময় মাঠে সাউদিকে পেয়ে বাড়তি ভালো লাগার কথা বললেন বোল্ট। শুধু নিউ জিল্যান্ডের নতুন বলের জুটিই নন তারা, মাঠের বাইরেও ভালো বন্ধু। এই সাফল্যের তরী বেয়ে একসঙ্গে আরও অনেক দূর যেতে চান দুজন।
“আমাদের বন্ধুত্ব অনেক বছরের। আমার মনে হয়, অনূর্ধ্ব-১৭ পর্যায়ের শেষের দিকে আমাদের দেখা হয়েছিল। জাতীয় দলের হয়েও ১০ বছরের বেশি ক্যারিয়ার হয়ে গেল। ওর কাছ থেকে শিখছিও আমি। ওর ওয়ার্ক এথিক অবিশ্বাস্য। রেকর্ডই ওর হয়ে কথা বলে। অনেক খাটুনি এবং প্রতিদিনই আরও ভালো হওয়ার তাড়না থেকে এটা আসে। আমরা দুজনই যখন উইকেট নেই, দারুণ লাগে তখন।”
“সে আমাকে নিয়ে গর্বিত। ওর পাশে নাম লেখাতে পারা দারুণ। আজকে বিকেলে মাঠে তাকে পাওয়াটাও বিশেষ কিছু। আমি নিশ্চিত, একসঙ্গে আরও কিছু উইকেট আমরা নিতে পারব!”