৪১ বছর বয়সে সোমবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দেন হাফিজ। শেষ হয় পাকিস্তানের হয়ে তার ১৮ বছরের বর্ণাঢ্য এক ক্যারিয়ারের।
২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে হাফিজের পথচলা শুরু হয়েছিল। গত নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেমি-ফাইনালটি হয়ে রইল পাকিস্তানের জার্সিতে তার শেষ ম্যাচ।
দীর্ঘ এই পথচলায় তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৯২ আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার রান ১২ হাজার ৭৮০। অফ স্পিনে উইকেট ২৫৩টি। ৩২ আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাকিস্তানকে নেতৃত্বও দিয়েছেন তিনি।
অবসরের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাফিজের জন্য শুভকামনা জানান বাবর। তুলে ধরেন তার ক্যারিয়ারে বিদায়ী সতীর্থের অবদানের কথা।
“মনে রাখার মতো একটা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হলো। মোহাম্মদ হাফিজ ভাইয়ের এবং তার অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু শিখেছি। মাঠে একসঙ্গে কাটানো সময়ে আপনার দিকনির্দেশনার জন্য ধন্যবাদ। অবসর জীবন সুখের হোক, প্রফেসর।”
২০১৭ সালে পাকিস্তানের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী দলের সদস্য ছিলেন হাফিজ। ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ তিনি খেলেছেন তিনটি, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছয়টি আর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তিনটি।
আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে তার সেরা অবস্থান ছিল ২২তম, বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ২৯তম, অলরাউন্ডারদের তালিকায় সেরা পঞ্চম।
ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ২০১৪ সালের মার্চে সর্বোচ্চ ১৩তম স্থানে উঠেছিলেন তিনি। বোলার ও অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে উঠেছিলেন যথাক্রমে ২০১২ সালের অগাস্টে ও ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে।
আর টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে তার সেরা অবস্থান নবম, ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ২০১৩ সালের অগাস্টে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থানে ও ২০১৪ সালের মার্চে অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে চূড়ায় উঠেছিলেন তিনি।