শতরানের জুটির গল্প শোনালেন শান্ত

বাংলাদেশের ব‍্যাটসম‍্যানদের কতই না ভুগিয়েছে নিল ওয়‍্যাগনারের খুনে বাউন্সার। নতুন বলে কতবার দুঃস্বপ্ন হয়ে এসেছে ট্রেন্ট বোল্ট কিংবা টিম সাউদির বিষ মাখানো সুইং। তাদের সঙ্গে এবার ছিলেন কাইল জেমিসন। তবে সবুজের ছোঁয়া থাকা উইকেটে এবার আর ভেঙে পড়েনি বাংলাদেশের ব‍্যাটিং। দলকে দারুণ একটি দিন উপহার দেওয়ার বড় কৃতিত্ব দ্বিতীয় উইকেটে শতরানের জুটির। দিনের খেলা শেষে মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে সেই জুটির গল্প শোনালেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2022, 11:21 AM
Updated : 2 Jan 2022, 11:30 AM

সবশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে চার ইনিংসেই নিদারুণভাবে ব‍্যর্থ হয়েছিল বাংলাদেশের প্রথম চার ব‍্যাটসম‍্যান। চারবারই পঞ্চাশের আগে তারা সবাই ফিরে যান সাজঘরে। একদিকে তাদের সাম্প্রতিক এমন পারফরম‍্যান্স, অন‍্যদিকে নিউ জিল‍্যান্ডে টপ অর্ডার ব‍্যাটসম‍্যানদের ভোগান্তির ইতিহাস। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের শুরুর ব‍্যাটিং নিয়ে আশাবাদী হওয়ার মতো লোক খুব বেশি ছিল না।

তবে প্রায় সবাইকে চমকে দিয়েছেন মাহমুদুল, শান্তরা। তাদের দৃঢ়তায় ২০১৪ সাল থেকে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো সফরকারী দল ৫০ ওভারের বেশি খেলতে পারল কেবল এক উইকেট হারিয়ে। এই পরিসংখ‍্যানই বলছে, সেখানে শুরুতে কতটা কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় সফরকারী ব‍্যাটসম‍্যানদের।

নিউ জিল‍্যান্ডে সচরাচর যেমন মেলে তেমন নয় বে ওভালের উইকেট। এখানেই অবশ্য দারুণ বোলিংয়ে নিউ জিল‍্যান্ডকে ৩২৮ রানে থামিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। পরে তারা ২ উইকেটে ১৭৫ রানে শেষ করেছে দিন।

মাহমুদুল ২২১ বলে ৭ চারে খেলছেন ৭০ রানে। ২৭ বল খেলে মুমিনুল হকের রান ৮। 

বাংলাদেশের লড়াইয়ের শুরু উদ্বোধনী জুটির হাত ধরেই। সাবধানী ব‍্যাটিংয়ে চার পেসারকে সামাল দেন সাদমান ইসলাম ও মাহমুদুল। সাদমানের বিদায়ের পর মাহমুদুলের সঙ্গে শতরানের জুটিতে দলকে টানেন শান্ত। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে রোববার দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাঁহাতি এই ব‍্যাটসম‍্যান জানান, এই জুটির শুরুর তাদের ভাবনার কথা। 

“(মাহমুদুল) জয় আর সাদমান শুরুতে খুব ভালো একটা জুটি গড়েছে। যে কারণে, ব‍্যাটিংয়ে যাওয়ার পর আমার জন‍্য সুবিধা হয়েছে।”

“আমার আর জয়ের যে পরিকল্পনা ছিল, আমরা লম্বা চিন্তা করিনি, একটা-একটা বল চিন্তা করেছি। আমাদের পুরো দিন খেলতে হবে বা আমাদের এত রান করতে হবে, এমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। আমাদের পরিকল্পনাই ছিল কীভাবে একটা বল, একটা ওভার, একটা ঘণ্টা পার করব। যেরকম বল দেখব, তেমনই খেলব, কোনোরকম জোড়াজুড়ি করে কিছু করতে যাব না।”

উদ্বোধনী জুটিতে ১০৯ বলে ৪৩ রান তোলেন মাহমুদুল ও সাদমান। দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুল ও শান্তর প্রথম পঞ্চাশ আসে ১৪৪ বলে, পরের পঞ্চাশ একটু দ্রুত ৮২ বলে। ওয়‍্যাগনারের বলে শান্ত গালিতে ধরা পড়লে ভাঙে ২৩৯ বল স্থায়ী ১০৪ রানের জুটি।   

১০৯ বলে ৬৪ রান করা শান্তর উপলব্ধি তিনি শেষ পর্যন্ত থেকে গেলে আরও ভালো জায়গায় থাকত বাংলাদেশ।

“জয় খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। তবে আমি যদি শেষ করে আসতে পারতাম তাহলে আমাদের দিনটা আরও ভালো হতে পারত।”