ব্যর্থ সৌম্য-মিঠুন, জাকেরের ৮ রানের আক্ষেপ

দিনের প্রথম বলেই ফিরলেন আগের রাউন্ডে সেঞ্চুরি করা মোহাম্মদ মিঠুন। ব্যর্থ ওই ম্যাচেরই আরেক সেঞ্চুরিয়ান সৌম্য সরকারও। চোখের পলকে পাঁচ উইকেট নেই ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের। খাদের কিনার থেকে দলকে দারুণ ব্যাটিংয়ে টেনে তুললেন তাইবুর রহমান ও জাকের আলি।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Dec 2021, 12:55 PM
Updated : 20 Dec 2021, 01:00 PM

বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে সোমবার ৯ উইকেটে ২২৩ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে মধ্যাঞ্চল। প্রথম ইনিংসে ২৪৫ রান করা ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল থেকে তারা এখনও পিছিয়ে ২২ রানে।

বিসিবি উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে সৌম্য খেলেছিলেন অপরাজিত ১০৪ রানের ইনিংস। মিঠুনের ব্যাট থেকে এসেছিল ১৭৬ রান। এবার দুই জনই ফিরলেন স্রেফ ২ রান করে।

৩২ রানে ৫ উইকেট হারানো দলের হাল ধরে তাইবুর-জাকের গড়েন ১৫২ রানের জুটি। ১১ চারে ৭৬ রান করে ফেরেন তাইবুর। জাকেরের বেশি, ৮ রানের জন্য যে পেলেন না সেঞ্চুরি। ফিরলেন ৩ ছক্কা ও ১১ চারে ৯২ রানে।

শের-ই-বাংলাদেশ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সবুজ ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে সোমবার শুরুতে পেসাররা পেয়েছেন সুবিধা। যা কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত বোলিংয়ে বিনা উইকেটে ৪ রান নিয়ে খেলতে নামা মধ্যাঞ্চলকে চেপে ধরে পূর্বাঞ্চলের পেসাররা।

আসাদুজ্জামান পায়েলের করা প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন মিঠুন। পরের ওভারে মিজানুর রহমান স্লিপে ক্যাচ দেন মোহাম্মদ এনামুল হকের বলে। সৌম্যকেও ফেরান এই পেসার। এরপর পায়েলের শিকার সালমান।

দুই পেসারের তোপের পর হানা দেন নাঈম হাসান। শুভাগত হোমকে কট বিহাইন্ড করে বিদায় করেন তিনি। মধ্যাঞ্চলের ব্যাটিং তখন প্রায় ধংসস্তুপ।

সেখান থেকে দারুণ ব্যাটিংয়ে তাইবুর ও জাকের বাড়াতে থাকেন দলের রান। তাদের দৃঢ়তায় দিনের দ্বিতীয় সেশন কাটিয়ে দেয় মধ্যাঞ্চল।

কিন্তু এরপর আর টিকতে পারেননি তাইবুর। ৯৯ বলে ফিফটি করা এই ব্যাটসম্যান ফেরেন নাঈমের বলে। শেষ হয় তার ১৯৮ বল স্থায়ী ইনিংস।

আবু হায়দার রনির স্টাম্প এলোমেলো করে দেন তানভির ইসলাম। কয়েক ওভার পরই এই লেগ স্পিনারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান কিপার-ব্যাটসম্যান জাকের।

মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির বিদায়ের পর দলকে টানছেন রবিউল হক ও হাসান মুরাদ। শেষ উইকেটে ২০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দিন শেষ করেন তারা।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ২৪৫

মধ‍্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৪/০) ৮৬.৪ ওভারে ২২৩/৯ (মিজানুর ২, মিঠুন ২, সৌম্য ২, সালমান ১৩, তাইবুর ৭৬, শুভাগত ৩, জাকের ৯২, আবু হায়দার ০, মৃত্যুঞ্জয় ৮, রবিউল ২২*, মুরাদ ৩*; এনামুল ১৪-১-৫০-১, পায়েল ১৪.৪-৫-৪৮-৩, নাঈম ৩১-১১-৭০-২, তানভির ২১-৪-৪২-২, আশরাফুল ৬-১-১৩-০)