চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিনে পাকিস্তানের জয় ৮ উইকেটে। দুই ম্যাচ সিরিজে তারা এগিয়ে গেল ১-০তে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে বাংলাদেশের পথচলা শুরু হলো হার দিয়ে।
২০৩ রান তাড়ায় শেষ দিনে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল আর ৯৩ রান। দুই ঘণ্টার কম সময়ে তারা পৌঁছে যায় লক্ষ্যে।
বাংলাদেশের শেষ দিনের প্রাপ্তি পাকিস্তানের দুই ওপেনারের উইকেট। শতরানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে এ দিন খুব বড় হতে পারেনি। দুই ওপেনারের কেউ পাননি ব্যক্তিগত সেঞ্চুরিও।
ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও আবিদ আলি থমকে যান ৯ রান দূরে। অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ শফিক প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ফিফটি ছোঁয়ার পর যেতে পারেননি শতরান পর্যন্ত।
আরেকটি উইকেটও পেতে পারত বাংলাদেশ। নিজের বলে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের ক্যাচ নিতে পারেননি তাইজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ দিন শুরু করে টানা দুই ওভার মেডেন নিয়ে। নিয়ন্ত্রিত বোলিং হতে থাকে পরের ওভারগুলোতেও। পাকিস্তানের দুই ওপেনারের অবশ্য তাড়াও ছিল না।
প্রথম উইকেট ধরা দেয় শফিকের ভুলে। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে সুইপ করতে গিয়ে আউট হন তিনি ৭৩ রানে। উদ্বোধনী জুটি থামে ১৫১ রানে।
প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান আবিদকে দ্বিতীয় ইনিংসে থামায় তাইজুলের দুর্দান্ত এক ডেলিভারি। পিচ করে সোজা স্কিড করে আসা বলে এলবিডব্লিউ তিনি ৯১ রানে।
তাইজুলের পরের ওভারেই জীবন পান বাবর। এরপর বাকিপথটুকু অনায়াসেই পাড়ি দেন আজহার আলি ও বাবর। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া আজহার দ্বিতীয় ইনিংসে একটু ব্যাটিং অনুশীলন সেরে নেন।
পরের ম্যাচের আগে অনুশীলন ও গুছিয়ে নেওয়ার খুব বেশি সুযোগ নেই বাংলাদেশের সামনে। দ্বিতীয় টেস্ট মিরপুরে শনিবার থেকেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৩৩০
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ২৮৬
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ১৫৭
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ২০২, আগের দিন ১০৯/০) ৫৮.৩ ওভারে ২০৩/২ (আবিদ ৯১, শফিক ৭২, আজহার ২৪*, বাবর ১৩*; তাইজুল ২৮-৪-৮৯-১, ইবাদত ৮-২-৩০-০, মিরাজ ১৮.৩-৪-৫৯-১, আবু জায়েদ ৪-০-২৩-০)।
ফল: পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ১-০তে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: আবিদ আলি।