৬৮ বছর বয়স হয়েছিল তার। সাবেক অধিনায়ককে হারানোর কথা ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে এদিন জানায় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট।
“শ্রীলঙ্কার প্রথম টেস্ট অধিনায়ক বান্দুলা ওয়ার্নাপুরার মৃত্যুতে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট গভীরভাবে শোকাহত। শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের পক্ষ থেকে এই কঠিন সময়ে আমরা তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে চাই।”
১৯৭৫ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক হয় ওয়ার্নাপুরার। চার বছর পরের আসরে তার নেতৃত্বে ভারতের বিপক্ষে স্মরণীয় জয় পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। দেশের হয়ে ১২ ওয়ানডে খেলে ৮টিতে অধিনায়কত্ব করেছিলেন তিনি। এই সংস্করণে তার সর্বোচ্চ রান ৭৭, পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৮১-৮২ মৌসুমে। দেশের হয়ে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে পেস বোলিংয়ে নিয়েছিলেন মোট ৮ উইকেট।
১৯৮২ সালে কলম্বোতে নিজেদের প্রথম টেস্ট খেলেছিল শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওই ম্যাচের অধিনায়ক ছিলেন ওয়ার্নাপুরা। লঙ্কানদের টেস্ট ইতিহাসে প্রথম বল মোকাবেলা ও প্রথম রান করা ব্যাটসম্যান তিনি। ওই ম্যাচে উদ্বোধনী ব্যাটিং ও বোলিং করে গড়েন দারুণ কীর্তি।
দেশের হয়ে ৪ টেস্ট খেলে চারটিতেই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওয়ার্নাপুরা। রান করেছিলেন ৯৬, উইকেট নেই একটিও।
১৯৮২-৮৩ মৌসুমেই শেষ হয়ে যায় ওয়ার্নাপুরার ক্যারিয়ার। বিদ্রোহী দলের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যেতে রাজি হওয়ায় তাকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট থেকে। পরে অবশ্য শ্রীলঙ্কার কোচ ও কোচিং বিভাগের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।