নেদারল্যান্ডসের হয়ে স্মরণীয় সব পারফরম্যান্স আছে ডেসকাটের। ৩৩ ওয়ানডে খেলে ৫ সেঞ্চুরিতে তার রান ১ হাজার ৫৪১, ব্যাটিং গড় ৬৭। হাজার রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার এই গড় ওয়ানডে ইতিহাসের সেরা। মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে উইকেট ৫৫টি, চার উইকেট তিন ম্যাচে। টি-টোয়েন্টিতে ২২ ম্যাচে ৫৩৩ রান ৪৪.৪১ গড় ও ১৩৩.২৫ স্ট্রাইক রেটে। উইকেট ১৩টি।
২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুটি সেঞ্চুরি ও একটি ফিফটি করেন তিনি, উইকেট নেন ৭টি। ওই বিশ্বকাপের পর নানা টানাপোড়েনে দীর্ঘ ৭ বছর আর খেলেননি নেদারল্যান্ডসের হয়ে। ২০১৮ সালে লর্ডসে একটি টি-টোয়েন্টি দিয়ে আবার ফেরেন। পরে ২০১৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে আবার ডাচদের হয়ে মাঠে নেমে ৯ ম্যাচে ২৩৩ রান করেন ৪৬.৬০ গড় ও ১৩৬২৫ স্ট্রাইক রেটে।
ওই আসর শেষেই বলেছিলেন, আরেকটি বিশ্বকাপ অন্তত খেলতে চান। তার সেই আশা পূর্ণ হচ্ছে এবার।
ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে ডেসকাটের ক্যারিয়ার দারুণ সমৃদ্ধ। এসেক্সের তিনি কিংবদন্তি। ২০৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে ২৯ সেঞ্চুরিতে রান ১১ হাজারের ওপর, উইকেট ২১৪টি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে ৪৩.৪২ গড়ে রান ৬ হাজারের বেশি, উইকেট ১৮৯টি। টি-টোয়েন্টিতে ১৩৩.৫৮ স্ট্রাইক রেটে রান সাড়ে ৭ হাজার, উইকেট ১১৪ টি।
শুধু ডেসকাটে নয়, নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ দলে ইংল্যান্ডের কাউন্টি সার্কিটের অভিজ্ঞ সব ক্রিকেটার আছেন আরও। নেতৃত্বে যথারীতি অলরাউন্ডার পিটার সিলার। সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন অলরাউন্ডার কলিন আকারম্যান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে যিনি নিয়মিত পারফরমার।
এই মৌসুমেই ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা ৭ জন ক্রিকেটার আছেন স্কোয়াডে। রুলফ ফন ডার মেরওয়া, বেন কুপার, স্টেফান মাইবার্গের মতো নিয়মিত ক্রিকেটাররা তো আছেনই। দলে থাকা পেসার পল ফন মেকেরেন এখন খেলছেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে।
দলের কোচ সাবেক অস্ট্রেলিয়ান কিপার-ব্যাটসম্যান রায়ান ক্যাম্পবেল।
বিশ্বকাপের প্রবার প্রথম রাউন্ডে ‘এ’ গ্রুপে শ্রীলঙ্কা, আয়ারল্যান্ড ও নামিবিয়ার বিপক্ষে খেলবে নেদারল্যান্ডস।
নেদারল্যান্ডস দল: পিটার সিলার (অধিনায়ক), কলিন আকারম্যান (সহ-অধিনায়ক), ফিলিপ বোয়াসেভেন, বাস ডে লেডে, পল ফন মেকেরেন, বেন কুপার, মাক্স ও’ডাওড, স্কট এডওয়ার্ডস, রায়ান টেন ডেসকাটে, টিম ফন ডার গুগটেন, রুলফ ফন ডার মেরওয়া, ব্র্যান্ডন গ্লভার, ফ্রেড ক্লাসেন, লোগান ফন বিক, স্টেফান মাইবার্গ।