ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওভালে বৃহস্পতিবার ভারত ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর মাঠে নামেন জাদেজা। এমনিতে পাঁচে নিয়মিত ব্যাট করেন অজিঙ্কা রাহানে। এই ইনিংসে জাদেজাকে পাঁচে জায়গা দিয়ে রাহানে নামেন ছয়ে।
এই ফাটকা অবশ্য কাজে লাগেনি। জাদেজা আউট হয়ে যান ১০ রান করে, রাহানে ফেরেন ১৪ রানে।
পরিবর্তনের পেছনে জাদেজার চেয়ে রাহানেকে নিয়ে ভাবনাই বেশি কাজ করেছে বলে মনে করেন শেবাগ। এমনিতে নির্ভরযোগ্য হলেও এই সিরিজে একদমই ফর্মে নেই রাহানে। নিজেদের সময়কার উদাহরণ টেনে শেবাগ বললেন, এবারও তেমন কিছুই হতে পারে কারণ।
“আমার মনে আছে, ২০০৪ সালের অস্ট্রেলিয়া সফরে (২০০৩-০৪) টেন্ডুলকার রান করছিল না। তখন তাকে চার থেকে সরিয়ে পাঁচে নামিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলি (অধিনায়ক) নিজে খেলেছিলেন চারে। এরকম হয় অনেক সময়। একই পজিশনে খেলে বারবার আউট হতে থাকলে এরকম পরিবর্তন করা হয়।”
২০০৩-০৪ মৌসুমর ওই অস্ট্রেলিয়া সফরে ব্রিজবেন ও অ্যাডিলেইড টেস্টে ব্যর্থতার পর মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ব্যর্থ হন টেন্ডুলকার। মেলবোর্নের দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়মিত পজিশন চার থেকে সরিয়ে তাকে খেলানো হয় পাঁচে। এবার ৪৪ রান করে কিছুটা ছন্দ তিনি ফিরে পান।
পরের টেস্টে সিডনিতে আবার চারে ফিরে তিনি খেলেন ক্যারিয়ারের কিংবদন্তিতুল্য ইনিংসগুলোর একটি, অপরাজিত ২৪১। দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত থাকেন ৬০ রানে।
জাদেজাকে পাঁচে খেলানোর পেছনে অবশ্য আরেকটি যুক্তিও পাচ্ছেন শেবাগ। ভারতের ব্যাটিং অর্ডারে এমনিতে প্রথম পাঁচজনই ডানহাতি। এখানে একটু পরিবর্তনের জন্যও বাঁহাতি জাদেজাকে ওপরে আনা হতে পারে বলে মনে করছেন শেবাগ।
“এমনও হতে পারে, ইংল্যান্ডের বোলারদের লাইন-লেংথ নাড়িয়ে দিতেই একজন বাঁহাতিকে পাঠানো হয়েছে তখন। স্রেফ একটি ম্যাচের জন্যই হতে পারে এটি। কন্ডিশন যেহেতু সুইং বোলারদের সহায়তা করছিল এবং ডানহাতি ব্যাটসম্যানরা বিপাকে ছিল, তাই জাদেজাকে পাঁচে পাঠানো হয়ে থাকতে পারে।”