শেষ দিনে রোমাঞ্চের অপেক্ষায় উইন্ডিজ-পাকিস্তান টেস্ট

বৃষ্টি, ভেজা মাঠ, আলোকসল্পতার বাধায় এমনিতেই নষ্ট হয়েছে ম্যাচের অনেক সময়। সমতায় সিরিজ শেষ করতে বাকি সময়টুকু কাজে লাগিয়ে ম্যাচে ফল বের করে আনার চ্যালেঞ্জ নিয়েছে পাকিস্তান। তাতে দারুণ জমে উঠেছে দ্বিতীয় টেস্ট। শেষ দিনের আগে পরিস্থিতি এমন যেখানে, চারটি ফলই সম্ভব।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 August 2021, 09:20 AM
Updated : 24 August 2021, 09:20 AM

স্যাবাইনা পার্কে সোমবার চতুর্থ দিনে দাপট দেখিয়েছে পাকিস্তান। শাহিন শাহ আফ্রিদির ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ১৫০ রানেই শেষ হয় ক্যারিবিয়ানদের প্রথম ইনিংস। ৫১ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার।

পরে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সফরকারীরা ৬ উইকেটে ১৭৬ রান নিয়ে ঘোষণা করেছে দ্বিতীয় ইনিংস। ৩২৯ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিংয়ে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ হারিয়ে ফেলেছে কাইরান পাওয়েলের উইকেট। ৪৯ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে তারা।

রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচটি জিততে এখনও ৯ উইকেট চাই পাকিস্তানের। আর ২৮০ রান দরকার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের দলের।

আগের দিনই চাপে পড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুতেই হারিয়ে ফেলে নাইটওয়াচম্যান আলজারি জোসেফকে। পরে প্রতিরোধ গড়েন এনক্রুমা বনার ও জার্মেইন ব্ল্যাকউড। তাদের ব্যাটে বাড়তে থাকে দলের রান, জুটির রানও ছাড়িয়ে যায় পঞ্চাশ।

৩৭ রান করা বনারকে কট বিহাইন্ড করে ৬০ রানের এই জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ আব্বাস। এই পেসারের পরের বলেই মোহাম্মদ রিজওয়ানের গ্লাভসে ধরা পড়ে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পান কাইল মেয়ার্স। টানা তিন ইনিংসে শূন্য রানে ফিরলেন তিনি।

আফ্রিদির বলে ফাওয়াদ আলমের দারুণ ক্যাচে ফিরে যান ব্ল্যাকউড (৩৩)। এরপর জেসন হোল্ডারকে ফিরিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন বাঁহাতি এই পেসার। ক্যারিবিয়ানদের শেষ উইকেট নিয়ে তিনি ছাড়িয়ে যান আগের সেরা ৫২ রানে পাঁচ উইকেট।

১৫২ রানের লিড পেয়ে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তান শুরু থেকে মনোযোগ দেয় দ্রুত রান তোলায়। দুই ওপেনার আবিদ আলি ও ইমরান বাট ৫৮ বলে এনে দেন ৭০ রান। তাদের জুটি ভাঙে ২৩ বলে ৬ চারে ২৯ রান করা আবিদের বিদায়ে।

এরপর বেশিক্ষণ টিকেননি ইমরানও। মেয়ার্সের বলে তিনি ক্যাচ দেন ৫ চারে ৩৭ রান করে। ব্র্যাথওয়েটকে সুইপ করার চেষ্টায় বল আকাশে তুলে দিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ধরা পড়েন আজহার আলি।

দ্রুত রান এনে দিতে আগে নামানো হয় হাসান আলিকে। দুই ছক্কায় ১১ বলে ১৭ করে দলের চাওয়া কিছুটা পূরণ করেন তিনি। পরে একটি করে ছক্কা-চারে ৩৩ করে লং অনে ধরা পড়েন বাবর আজম। এরপরই ইনিংস ঘোষণা করে দেন পাকিস্তান অধিনায়ক।

দিনের শেষ বেলায় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দারুণ ছন্দে থাকা পাকিস্তান পেসারদের ভালোভাবেই সামাল দিচ্ছিলেন ব্র্যাথওয়েট ও পাওয়েল। কিন্তু ৩ চারে ২৩ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন পাওয়েল। আবারও নাইটওয়াচম্যানের দায়িত্ব পাওয়া জোসেফকে নিয়ে বাকিটা সময় নিরাপদে কাটিয়ে দেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৩০২/৯ ইনিংস ঘোষণা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: (আগের দিন ৩৯/৩) ৫১.৩ ওভারে ১৫০ (বনার ৩৭, জোসেফ ৪, ব্ল্যাকউড ৩৩, মেয়ার্স ০, হোল্ডার ২৬, দা সিলভা ৬, রোচ ৮, সিলস ০*; আব্বাস ১৮-৬-৪৪-৩, আফ্রিদি ১৭.৩-৭-৫১-৬, হাসান ৮-১-৩০-০, ফাহিম ৭-৪-১৪-১, নুমান ১-০-১-০)।

পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ২৭.২ ওভারে ১৭৬/৬ ইনিংস ঘোষণা (ইমরান ৩৭, আবিদ ২৯, আজহার ২২, বাবর ৩৩, হাসান ২৭, ফাহিম ৯, রিজওয়ান ১০*; রোচ ৩-১-১১-০, সিলস ৩-০-৩২-০, হোল্ডার ৬-০-২৭-২, জোসেফ ৪.২-০-২৪-২, মেয়ার্স ৭-০-৪৩-১, ব্যাথওয়েট ৪-০-২৮-১)।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৩২৯) ১৯ ওভারে ৪৯/১ (ব্র্যাথওয়েট ১৭*, পাওয়েল ২৩, জোসেফ ৮*; আব্বাস ৫-১-১৮-০, আফ্রিদি ৫-৩-৫-০, হাসান ৫-২-২০-০, ফাহিম ৪-৩-৫-০)।