জ্যামাইকা টেস্টের দ্বিতীয় দিনটি ব্র্যাথওয়েটের জন্য অম্ল-মধুর। অধিনায়কের দারুণ ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে লিড পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু কাছে গিয়েও নিজে পাননি সেঞ্চুরির দেখা।
৮ উইকেটে ২৫১ রান নিয়ে শুক্রবার দিন শেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে তারা ৩৪ রানে।
আগের দিন ২ রানে ২ উইকেট হারানো দলকে এগিয়ে নেন ব্র্যাথওয়েট। তবে আশা জাগিয়েও হলো না তার দশম টেস্ট সেঞ্চুরি। ৯৭ রানে আউট হয়ে বরং পেলেন টেস্টে চতুর্থবার নব্বইয়ে কাটা পড়ার যন্ত্রণা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে নব্বইয়ে রান আউট হওয়া পঞ্চম ব্যাটসম্যান ব্র্যাথওয়েট, ওপেনার হিসেবে দ্বিতীয়।
চেইসকে ২১ রানে থামিয়ে ৪৯ রানের জুটি ভাঙেন হাসান আলি। পরের ব্যাটসম্যান জার্মেইন ব্ল্যাকউডের পরিণতিও হয় একই। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে ২২ রানে আউট হন তিনি, ব্র্যাথওয়েটের সঙ্গে জুটি হয় ঠিক ৪৯ রানের।
আফ্রিদি পরের বলেই দারুণ এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ করে দেন কাইল মেয়ার্সকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তখন ধুঁকছে ১০০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে। পাকিস্তান আশায় লিড পাওয়ার।
ব্র্যাথওয়েট ও জেসন হোল্ডারের জুটিতে ধীরে ধীরে বদলায় চিত্র। হোল্ডারের শুরুটা ছিল অস্বস্তিময়। দ্বিতীয় বলেই এলবিডব্লিউ হওয়া থেকে বেঁচে যান তিনি সামান্য একটুর জন্য। প্রথম ৩৪ বলে স্কোরিং শট ছিল তার একটি।
ইয়াসির শাহর এক ওভারে তিনটি বাউন্ডারির পর থেকে তিনি খেলতে থাকেন স্বচ্ছন্দে। ব্র্যাথওয়েটের সঙ্গে তার জুটি কাটিয়ে দেয় ৩০ ওভারের বেশি।
১৩৯ বলে ফিফটিতে পা রাখেন ব্র্যাথওয়েট, ৯৫ বলে হোল্ডার।
জুটি যখন শতরানের কাছাকাছি, ফাহিম আশরাফের অফ স্টাম্প ঘেঁষা দুর্দান্ত আউট সুইঙ্গারে শেষ হয় হোল্ডারের ৫৮ রানের ইনিংস। জুটি থামে ৯৬ রানে।
ব্র্যাথওয়েট হাল ছাড়েননি। কোনো বোলার তাকে বিপাকে ফেলতে পারেনি। দলকে লিড এনে দেন তিনিই। কিন্তু এরপরই ওই রান আউট ট্র্যাজেডি। মাঠ ছাড়েন তিনি হতাশায়।
দ্বিতীয় নতুন বলে কেমার রোচকে বিদায় করেন আব্বাস। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের লিড আরও বাড়ানোর আশা হয়ে ২০ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন কিপার-ব্যাটার জশুয়া দা সিলভা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ২১৭
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৮৭ ওভারে ২৫১/৮ (আগের দিন ২/২) (ব্র্যাথওয়েট ৯৭, পাওয়েল ০, বনার ০, চেইস ২১, ব্ল্যাকউড ২২, মেয়ার্স ০, হোল্ডার ৫৮, জশুয়া ২০*, রোচ ১৩, ওয়ারিক্যান ১*; আব্বাস ২০-৯-৪২-৩, আফ্রিদি ২০-৫-৫৯-২, ইয়াসির ১৩-১-৪৬-০, ফাহিম ১৪-৬-৩৭-১, হাসান ১৯-৪-৫৪-১)।