নিউ জিল্যান্ডের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ তিনটি সেঞ্চুরি রয়েছে মানরোর, সব দেশ মিলিয়ে যা যৌথভাবে দ্বিতীয়। ২০ ওভারের ক্রিকেটে কমপক্ষে ২৫০ বল খেলা দেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেটও (১৫৬.৪৪) তারই। কিন্তু দলে নেই তিনি গত বছরের ফেব্রুয়ারির পর থেকে।
জাতীয় দলে সুযোগ না পেলেও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে হেসেছে তার ব্যাট। ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছেন পিএসএল, সিপিএল, বিগ ব্যাশ ও চলমান দা হানড্রেডে। এই সময়ে রান করেছেন তিনি ৩৭.৯৪ গড় ও ১৪০.২১ স্ট্রাইক রেটে।
ব্যাট হাতে নিজেকে মেলে ধরলেও সোমবার ঘোষিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে জায়গা হয়নি মানরোর। এরপরই হতাশায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তিনি প্রকাশ করেন নিজের অনুভূতি।
“(টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে) খেলতে চেয়েছিলাম আমি; তাই দলে জায়গা না পাওয়াটা চরম হতাশার। মনে হচ্ছে, অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমি আমার শেষ ম্যাচ খেলে ফেলেছি নিউ জিল্যান্ডের হয়ে।”
২০১৯ বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সে মানরো হারিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় চুক্তি। বিশ্বকাপের পর থেকে খেলেননি কোনো ওয়ানডে। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বেছে বেছে।
আগামী অক্টোবরে হতে যাওয়া বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে খেলবে নিউ জিল্যান্ড। এই দুই সিরিজ থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেন ৩৪ বছর বয়সী বাঁহাতি ওপেনার। কেবল খেলতে চেয়েছিলেন বৈশ্বিক আসরে। যা পছন্দ হয়নি নির্বাচকদের।
নিউ জিল্যান্ড প্রধান কোচ গ্যারি স্টেড জানান, এ নিয়ে মানরোর সঙ্গে কথা হয়েছে তার। সব কিছু বিবেচনায় এনেই তাকে রাখা হয়নি বিশ্বকাপ দলে।
“কলিনকে এখনও পাওয়া যাবে, তবে সেটা কেবল বিশ্বকাপের জন্য। সে অন্য কোনো সফরে খেলতে চায় না। আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলেছি। গত ছয় মাসে দলের ছেলেদের নিয়ে আমরা অনেক সাফল্য পেয়েছি। জানি, কলিন দারুণ খেলোয়াড়...তবুও...দুর্ভাগ্যবশত আমরা ১৫ জনকে নিয়েছি, সঙ্গে আছে অ্যাডাম মিল্ন (কাভার হিসেবে)।”
“যখন চারপাশে অনেক মানসম্মত ক্রিকেটার থাকে, সবাইকে তো ১৫ সদস্যের দলে নেওয়া যায় না। এই সিদ্ধান্তটি আমাদের নিতেই হয়েছে। আমি কলিনের সঙ্গে এক সপ্তাহ আগে কথা বলেছি এবং তখন সে তার অবস্থান পরিষ্কার করেছিল।”