জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারের টেস্টের দ্বিতীয় দিনে তাসকিন খেলেছেন ৭৫ রানের দারুণ ইনিংস।
টেস্টে তার আগের সর্বোচ্চ ৩৩। শুধু টেস্ট ক্রিকেটেই নয়, স্বীকৃত ক্রিকেটে ২০৭ ম্যাচ খেলে তিনি ফিফটির স্বাদ পেলেন প্রথমবার।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে নবম উইকেটে গড়েছেন দেশের রেকর্ড, একটুর জন্য গড়তে পারেননি বিশ্বরেকর্ড।
তাসকিনের ‘ডান্স মুভ’, ব্যাটিংয়ের আগে একটু দেখিয়েছেন নাচের ঝলক। ছবি: ভিডিও থেকে।
মুজরাবানির তা নিশ্চিতভাবেই ভালো লাগেনি। এগিয়ে গিয়ে তিনি কিছু একটা বলেন তাসকিনকে। জবাব দিতে একটুও সময় নেননি তাসকিন। এগিয়ে গিয়ে তিনি ছোঁড়েন কথার তীর। পরের মুহূর্তেই দুজন মুখোমুখি, এতটাই কাছাকাছি যে তাসকিনের হেলমেটের গ্রিলে মুখ ঠেসে দাঁড়ান মুজারাবানি। বাক্য বিনিময় চলে। এরপর ব্যাটিং ক্রিজে ফিরে যাওয়ার আগে ক্রুদ্ধ দৃষ্টি দেন তাসকিন, যেন চাহনির আগুনে পুড়িয়ে দেবেন মুজারাবানিকে।
মেজাজ হারিয়ে লাইন-লেংথও হারিয়ে বসেন মুজারাবানি। তার পরের তিন ওভারেই বাউন্ডারি মারেন তাসকিন।
ইনিংসটি থমকে যেতে পারত ৩২ রানেই। বাঁহাতি পেসার রিচার্ড এনগারাভার বলে স্লিপে ক্যাচ দেন তাসকিন, কিন্তু সহজ সুযোগটি হাতছাড়া করেন মিল্টন শুম্বা।
লাঞ্চের আগে এনগারাভার বলেই সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটিতে পা রাখেন তিনি ৬৯ বলে। ড্রেসিং রুমের সামনে সতীর্থরা যখন ফেটে পড়ছে করতালিতে, তাসকিনের মুখেও তখন চওড়া হাসি।
তাসকিনের দৃষ্টিতে আগুন। ছবি: ভিডিও থেকে।
কোনো বোলারই তাকে বিপাকে ফেলতে পারছিল না। এগোচ্ছিলেন তিনি অনায়াসেই। ‘টিপিক্যাল’ লোয়ার অর্ডার ইনিংস এটি ছিল না। বরং তার কিছু শট, অফ সাইডে কিছু নান্দনিক ড্রাইভে মনে হয়েছে যেন তিনি জাত ব্যাটসম্যান!
৭৫ যখন হয়েই গেল, সেঞ্চুরিটাও মনে হচ্ছিল, খুবই সম্ভব।
হলো না, হুট করে নিজেকে হারিয়ে ফেলায়। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান তিনি, মিল্টন শুম্বার নিরীহ বাঁহাতি স্পিন পেয়ে মাথা চেপে বসল বড় শটের চিন্তা। সেটাই কাল হলো। স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার নবম উইকেট জুটির রান তখন ১৯১। আর চার রান করলেই ছুঁতে পারতেন মার্ক বাউচার ও প্যাটস সিমকক্স জুটির বিশ্বরেকর্ড!
রেকর্ড হলো না। নিজের সেঞ্চুরি হলো না। তার পরও মনে হয় তার আক্ষেপ খুব একটা থাকার কথা নয়। প্রাপ্তির ঝুলিও যে অনেক ভারী!