ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে রোববার ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ৭ রানে জিতেছে শেখ জামাল।
বিকেএসপির তিন নম্বরে মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৩৭ রান করে রূপগঞ্জ।
শেখ জামালের ইনিংসে দুই দফায় নামে বৃষ্টি। ১৮ ওভারের পর আর খেলা সম্ভব হয়নি। ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে তখন তাদের প্রয়োজন ছিল ১২১ রান, দলটির স্কোর ছিল তখন ৪ উইকেটে ১২৭।
ওপেনার সৈকত খেলেন ৪৩ রানের ইনিংস। অধিনায়ক ও কিপার-ব্যাটসম্যান সোহান অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে।
শুরু থেকে নিয়মিত উইকেট হারায় রূপগঞ্জ। দলে নেই পঞ্চাশ রানের কোনো জুটি। প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের সবাই যান দুই অঙ্কে কিন্তু কেউ বড় করতে পারেননি নিজের ইনিংস।
সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন নিজেকে খুঁজে ফেরা সাব্বির রহমান। ৩১ বলের ইনিংসে তিন চারের পাশে একটি ছক্কা। শেষ দিকে ১৯ বলে ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন নাঈম ইসলাম।
শেখ জামালের সালাউদ্দিন সাকিল ও সৈকত নেন দুটি করে উইকেট।
রান তাড়ায় শুরুতেই নাসির হোসেনকে হারায় শেখ জামাল। দুই অঙ্ক ছুঁয়েই বিদায় নেন ইমরুল কায়েস। তবে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ইমরুলের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন সৈকত।
মোহাম্মদ শহীদকে ছক্কায় ওড়ানোর পর নাবিল সামাদকে পরপর দুই বলে ছক্কা-চার হাঁকান সৈকত। পরে হোসেন আলি ও সোহাগ গাজীকে মারেন একটি করে ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ৩০ বলে চার ছক্কা ও দুই চারে ফিরেন ৪৩ রান করে।
সোহান ও ইলিয়াস সানি দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন লক্ষ্যের দিকে। এর মাঝেই ইনিংসের ১৪তম ওভারে বৃষ্টির বাগড়া। পরে খেলা শুরু হলে ইলিয়াস সানি কাটা পড়েন রান আউটে।
এক প্রান্তে অবিচল থেকে খেলে যান সোহান। পরে ১৮ ওভার শেষে আবারও বৃষ্টি নামলে আর খেলা হয়নি। ৩০ বলে ৩ ছক্কা ও এক চারে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন শেখ জামাল অধিনায়ক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ২০ ওভারে ১৩৭/৬ (পিনাক ১৭, জাকের ১৯, সাব্বির ৪১, আল-আমিন ১৯, নাঈম ৩০*, সোহাগ ৩, মুক্তার ৬, সানজামুল ১*; এনামুল ২-০-১৪-০, নাসির ২-০-৯-০, এবাদত ৪-০-২৭-১, সাকিল ৪-০-২৩-২, ইলিয়াস ২-০-১৫-০, সোহরাওয়ার্দি ২-০-২৫-১, সৈকত ৪-০-২৪-২)।
শেখ জামাল: ১৮ ওভারে ১২৭/৪ (সৈকত ৪৩, নাসির ৭, ইমরুল ১১, সোহান ৪৪*, ইলিয়াস ১৭; নাবিল ৩-০-২০-০, শহীদ ৪-০-৩৮-১, সোহাগ ৪-০-১৯-০, হোসেন ৩-০-২৮-২, সানজামুল ১-০-৭-০, মুক্তার ৩-০-১৪-০)।
ফল: ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে ৭ রানে জয়ী শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।
ম্যান অব দা ম্যাচ: সৈকত আলি।