আর্চারের অস্ত্রোপচারের ধরন ও তার মাঠে ফেরার সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে নারাজ ইসিবি। তবে এটা নিশ্চিত, অন্তত মাস তিনেক সময় তার লাগবেই। অগাস্ট-সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজের কোনো একটা পর্যায়ে তাকে পাওয়ার আশা করছে ইংল্যান্ডের বোর্ড।
দুই মাসের মধ্যে আর্চারের এটি দ্বিতীয় অস্ত্রোপচার। গত মার্চে তার অস্ত্রোপচার করা হয় আঙুলে। নিজের বাসায় মাছের অ্যাকুয়ারিয়াম ফেলে দিয়ে চোট পাওয়ার পর সেবার আঙুল থেকে বের করা হয় কাঁচের টুকরা।
সেই ধাক্কা সামলে মাঠে ফিরতে না ফিরতেই বেঁকে বসে তার কনুই। গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এই চোট তাকে ভোগাচ্ছে। নানা সময়ে ব্যথানাশক নিয়ে তবু খেলে যাচ্ছিলেন। আঙুলের অস্ত্রোপচার থেকে ফিরে এই মাসের শুরু মাঠে নামেন তিনি সাসেক্সের দ্বিতীয় একাদশের একটি ম্যাচ দিয়ে। পরে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে সাসেক্সের হয়ে খেলেন একটি ম্যাচ। ওই ম্যাচেই আবার মাথাচাড়া দেয় কনুইয়ের ব্যথা। শেষ পর্যন্ত এবার অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্তই হলো।
সামনে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সীমিত ওভারের সিরিজে আর্চার নিশ্চিতভাবেই খেলতে পারছেন না। ভারতের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ টেস্ট সিরিজের পুরোটা কিংবা বড় একটা অংশও থাকবেন বাইরে। তার পরও এই সময়ে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কারণ বছরের শেষ নাগাদ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজে তাকে পুরো ফিট চায় দল।
কনুইয়ের এই চোট তার বোলিংকে প্রবলভাবেই প্রভাবিত করেছে। চোটের পর থেকে ৬ টেস্টে কেবল ১২ উইকেট নিয়েছেন ৪০.১৬ গড়ে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও কমে গেছে ধার ও গতি। গত আইপিএল থেকেও নিজেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হন।