বিকেএসএপিতে বৃহস্পতিবার নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেন বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে থাকা ক্রিকেটাররা। ৪৫ ওভারের ম্যাচে সবুজ দল করে ৩ উইকেটে ২৮৪ রান, লাল দল ৫ উইকেটে জিতে যায় ৪১ ওভারেই।
সবুজ দলের হয়ে ওপেনিংয়ে সৌম্য সরকার ৭০ বলে করেন ৬০ রান। পাঁচ নম্বরে মাহমুদউল্লাহ খেলেন ৫৪ বলে ৬২ এবং ছয়ে নেমে আফিফ ৫৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংস। অন্যদের সুযোগ দিতে সেচ্ছাবসরে যান তিন জনই।
লাল দলের রান তাড়ায় তামিম আউট হন ৫৮ বলে ৮০ রান করে। ৫৫ বলে ৬৪ রান করে নিজ থেকে ব্যাটিং ছাড়েন মুশফিক। শেষ দিকে দারুণ ক্যামিও খেলেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়া পেয়ে মাত্র একদিনের অনুশীলনের পর এই ম্যাচে নামা সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানের পারফরম্যান্স খুব ভালো হয়নি।
সবুজ দল ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো করলেও সাকিব আউট হন ২০ বলে ২৮ রান করে। পরে বল হাতে ৬ ওভারে ৪৫ রান খরচায় উইকেট নেন ১টি। লাল দলের হয়ে মুস্তাফিজ ৭ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে থাকেন উইকেটশূন্য।
বোলারদের মধ্যে সেরা ছিলেন লাল দলের মেহেদি হাসান। ৯ ওভারে ৪০ রান দিয়ে নেন তিনি ২ উইকেট। তবে সিরিজের আগে বড় স্বস্তি চোটের ধকল কাটিয়ে মাহমুদউল্লাহর বোলিংয়ে ফেরা। সবুজ দলের হয়ে ৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২ উইকেটও পান অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
সবুজ দল ব্যাটিংয়ে নামে টস জিতে। ম্যাচের শুরুর দিকেই বোলারের হাতে বল লেগে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে রান আউট হন সৌম্য। তবে অনুশীলনের জন্য তাকে ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। তিনি তা কাজে লাগান ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৬০ রান করে।
সৌম্যর উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী মোহাম্মদ নাঈম শেখকে বসিয়ে দেওয়া হয় ৪৩ বলে ৫ চারে ৩৮ রান করার পর।
সাকিব তিন নম্বরে নেমে বোল্ড হন অফ স্পিনার মেহেদি হাসানকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে। মেহেদির বলেই ৩ রানে আউট হয়ে অনুশীলনের সুযোগ হাতছাড়া করেন চারে নামা মোহাম্মদ মিঠুন।
এরপর বড় জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। আফিফের ৬৪ রানে চার ৭টি, ছক্কা ৩টি।
শেষ দিকে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৬ বলে ১৭ করেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
দ্বিতীয় জুটিতেও চলতে থাকে দ্রুত রানের ধারা। তিনে নেমে ইমরুল কায়েস করেন ৩২ বলে ৩৩।
তামিম ফিফটি স্পর্শ করেন ৩৬ বলে। ৭ চার ও ৪ ছক্কায় ৮০ করে আউট হন মাহমুদউল্লাহর বলে। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৮ বলে করতে পারেন কেবল ৯। মুশফিকের ৬৪ রানের ইনিংসে চার ৬টি, ছক্কা ২টি।
ছয়ে নেমে মোসাদ্দেক হোসেন ২৫ বলে ২৮ রানে আউট হওয়ার পর শেষ দিকে আবার তাকে ব্যাটিং অনুশীলনের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে সাইফের ঝড়ে সেই সুযোগ খুব একটা পাননি মোসাদ্দেক। ১২ বলে ২৬ করে অপরাজিত থাকেন সাইফ।
শুক্রবার বিকেএসপিতেই নিজেদের মধ্যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কা। রোববার থেকে শুরু ওয়ানডে সিরিজের মূল লড়াই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ সবুজ: ৪৫ ওভারে ২৮৪/৩ (নাঈম ৩৮ (স্বেচ্ছাবসর), সৌম্য ৬০ (স্বেচ্ছাবসর), সাকিব ২৮, মিঠুন ৩, মাহমুদউল্লাহ ৬২ (স্বেচ্ছাবসর), আফিফ ৬৪ (স্বেচ্ছাবসর), মিরাজ ১৭, বিপ্লব ৩* ; মুস্তাফিজ ৭-০-৪৮-০, সাইফ ৯-০-৬৫-০, মেহেদি ৯-০-৪০-২, শরিফুল ৭-০-৪৫-১, মোসাদ্দেক ৮-১-৩৮-০, নাসুম ৫-০-৪৪-০)।
বাংলাদেশ লাল: ৪১ ওভারে ২৮৮/৫ (তামিম ৮০, লিটন ১৫, ইমরুল ৩৩, মুশফিক ৬৪ (স্বেচ্ছাবসর), শান্ত ৯, মোসাদ্দেক ২৮, মেহেদি ২৪ (স্বেচ্ছাবসর), সাইফ ২৬*, মোসাদ্দেক ২*; তাসকিন ৬-০-৪৫-০, শহিদুল ৩-০-২৩-০, সাকিব ৬-০-৪৫-১, মিরাজ ৭-০-৫২-০, মাহমুদউল্লাহ ৫-০-২৯-২, তাইজুল ৬-১-২১-১, বিপ্লব ৩-০-৩৪-০, আফিফ ২-০-৯-০, সৌম্য ৩-০-২৮-০)।