আজহার-আবিদের সেঞ্চুরি, আবার ব্যর্থ বাবর

শুরুর কঠিন সময়টুকু দাঁতে দাঁত চেপে পার করলেন আবিদ আলি ও আজহার আলি। পরে দুজনই উপহার দিলেন দারুণ সেঞ্চুরি। তাদের আলো ঝলমলে দিনে ব্যর্থ পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। শেষ বেলায় দ্রুত তিন উইকেট নিয়ে ঘুরে দাঁড়াল জিম্বাবুয়ে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 May 2021, 04:03 PM
Updated : 7 May 2021, 08:29 PM

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে পাকিস্তানের রান ৪ উইকেটে ২৬৮। ১১৮ রানে খেলছেন ওপেনার আবিদ।

দ্বিতীয় নতুন বলে নিজের টানা তিন ওভারে আজহার, বাবর ও আগের টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান ফাওয়াদ আলমকে ফিরিয়ে দেন ব্লেসিং মুজারাবানি। তিন ব্যাটসম্যানই আউট হন আলগা শটে।

আজহারের ব্যাট থেকে আসে ১২৬ রান। প্রথম টেস্টে এই সংস্করণে প্রথম গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পাওয়া বাবর এবার করেন কেবল ২।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুক্রবার টস জিতে ব্যাটিং নেন বাবর। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকের ১৮ বছর ও ১৩৭ ম্যাচ খেলার পর পাকিস্তানের হয়ে এ দিন টেস্ট ক্যাপ পান পেসার তাবিশ খান। তার (৩৬ বছর ১৪৬ দিন) চেয়ে বেশি বয়সে দলটির হয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছে আর কেবল দুজনের।

দ্বিতীয় উইকেটে ২৩৬ রানের জুটি গড়েন আবিদ ও আজহার। ছবি: পিসিবি

টি-টোয়েন্টি সিরিজে দারুণ বোলিং করা জিম্বাবুয়ের লুক জঙ্গুয়েও পেয়েছেন টেস্ট ক্যাপ।

পাকিস্তানের তিন দিনে জেতা প্রথম টেস্টের মতো এবারও হারারের উইকেট একটু মন্থর, তবে বোলারদের জন্য নেই তেমন একটা সহায়তা। তবু আঁটসাঁট বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ের শুরুটা হয় ভালো। অষ্টম ওভারে মেলে সাফল্য।

রিচার্ড এনগারাভার শর্ট বল পুল করার চেষ্টায় ডোনাল্ড টিরিপানোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমরান বাট। প্রথম টেস্টে ৯ রানের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়া ডানহাতি ওপেনার এবার ২০ বলে করেন ২।

ধৈর্য ধরে কঠিন সময়টা পার করে দেন আবিদ ও সাবেক অধিনায়ক আজহার। প্রথম ঘণ্টায় ১৪ ওভারে পাকিস্তান তুলতে পারে কেবল ২৪ রান। পরের ঘণ্টায় একটু বাড়ে রানের গতি। লাঞ্চ বিরতিতে ২৯ ওভারে সফরকারীদের রান ছিল ১ উইকেটে ৭২।

এরপর আবিদ-আজহারের ব্যাটে বাড়তে থাকে রান। একশ ছুঁয়ে জুটির রান ছাড়ায় দুইশ।

১১৩ বলে ফিফটি ছুঁয়েছিলেন আজহার। শেষ সেশনে তিন অঙ্কে পা রাখেন তিনি ১৯৮ বলে। তার ক্যারিয়ারের এটি ১৮তম সেঞ্চুরি, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম। ১০১ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া আবিদ ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ২২৪ বলে।

পাকিস্তান আর কোনো উইকেট না হারিয়ে দিন শেষ করবে বলেই মনে হচ্ছিল তখন। কিন্তু শেষ বেলায় পাল্টে যায় চিত্র।

উইকেট নেওয়ার পর সতীর্থদের সঙ্গে ব্লেসিং মুজারাবানির উল্লাস। ছবি: জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট

আজহারকে ফিরিয়ে ২৩৬ রানের জুটি ভাঙেন মুজারাবানি। শরীরের বেশ দূরের বলে ড্রাইভ করে গালিতে ক্যাচ দেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ২৪০ বলে ১৭ চার ও একটি ছক্কায় সাজান তার ১২৬ রানের ইনিংসটি।

মুজারাবানির পরের ওভারে আজহারের মতোই ড্রাইভ করে পয়েন্টে ধরা পড়েন বাবর। আর ডানহাতি পেসারের শর্ট বল পুল করার চেষ্টায় ব্যাটে লেগে বোল্ড হন ফাওয়াদ।

১ উইকেটে ২৪৮ রানের শক্ত ভিত থেকে পাকিস্তানের রান তখন ২৬৪/৪। বাকি সময়টা নিরাপদে কাটিয়ে দেন আবিদ ও নাইটওয়াচম্যান সাজিদ খান।

চোট থেকে পুরোপুরি সেরে না ওঠায় নিয়মিত অধিনায়ক শন উইলিয়ামসকে এই টেস্টেও পায়নি জিম্বাবুয়ে। আরেকটি দুঃসংবাদ হয়ে এসেছে ম্যাচ চলাকালীন রয় কাইয়ার চোট। চা বিরতির আগে আবিদের একটি শটে শর্ট লেগে হাঁটুতে আঘাত পেয়ে স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়েন এই ব্যাটসম্যান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৬৮/৪ (ইমরান ২, আবিদ ১১৮*, আজহার ১২৬, বাবর ২, ফাওয়াদ ৫, সাজিদ ১*; মুজারাবানি ১৯-৪-৪১-৩, এনগারাভা ১৭-৪-৩৫-১, জঙ্গুয়ে ১০-১-৩২-০, টিরিপানো ১২-৪-৪৬-০, চিসোরো ২৬-৬-৮০-০, শুম্বা ৬-১-২৫-০)।