টস হেরেই ম্যাচে অর্ধেক হার, দাবি মুমিনুলের

ম্যাচ শেষ হলো পঞ্চম দিন সকালে। তবে মুমিনুল হকের মতে, ম্যাচের ফয়সালা অনেকটা হয়ে গেছে প্রথম দিন সকালেই! মুদ্রা নিক্ষেপেই টেস্টের ভাগ্য অর্ধেক নির্ধারণ হয়ে গেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2021, 10:29 AM
Updated : 3 May 2021, 10:29 AM

পাল্লেকেলেতে দ্বিতীয় টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০৯ রানে হেরে দুই ম্যাচের সিরিজও হেরেছে বাংলাদেশ।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কা ৭ উইকেটে ৪৯৩ রানে ইনিংস ঘোষণার পর বাংলাদেশ অলআউট হয় ২৫১ রানে। ফলো-অন করানোর সুযোগ থাকলেও শ্রীলঙ্কা আরেকবার ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে ৯ উইকেটে ১৯৪ রানে। শেষ ইনিংসে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২২৭ রানে।

ম্যাচ শেষে পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যায় মুমিনুল ফিরে গেলেন প্রথম দিন সকালে।

“আমার মতে, এই টেস্ট ম্যাচে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার ছিল টস। এটাই আমার মনে হয়। প্রথম দুই দিনে উইকেটে বোলারদের জন্য কিছুই ছিল না। ম্যাচের প্রায় ৫০ শতাংশই নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল টসের সময়।”

প্রথম দিন উইকেট সত্যিই ছিল নিষ্প্রাণ। সেদিনই ১ উইকেটে ২৯১ রান তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশ চেষ্টা করে ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু নিরোশান ডিকভেলার দ্রুতগতির ফিফটিতে শেষ দিকে রান বাড়ায় লঙ্কানরা। বৃষ্টিতে সেদিন খেলা শেষ হয় ঘণ্টা দুয়েক আগেই। তৃতীয় দিন সকালে শ্রীলঙ্কা ইনিংস ঘোষণা করে। বাংলাদেশ যখন ব্যাটিংয়ে নামে, শুরু থেকেই স্পিনারদের জন্য মেলে দারুণ সহায়তা।

টস তাই বড় ভূমিকা রেখেছে সত্যিই। তবে ফল নির্ধারণে ৫০ ভাগ অবদান টসের কিনা, সেই প্রশ্ন তোলাই যায়। আরও বড় প্রশ্ন বাংলাদেশের ব্যাটিং নিয়ে। স্পিন সহায়ক উইকেটেও প্রথম ইনিংসে এক পর্যায়ে ৩ উইকেটে ২১৪ রান ছিল বাংলাদেশের। তামিম ইকবাল খেলেন ৯২ রানের ইনিংস। কিন্তু ৩৭ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে গুঁড়িয়ে যায় বাংলাদেশ।

ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ ছিটকে যায় অনেকটা তখনই। এরপর শেষ ইনিংসে কাজটা ছিল ভীষণ কঠিন, তবু প্রত্যাশিত লড়াইটুকু করতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা।

মুমিনুল অবশ্য সেই দায়টুকুও মেনে নিচ্ছেন।

“আমরা যদি চার-পাঁচ সেশন ব্যাটিং করতে পারতাম…প্রথম টেস্ট দেখেন, আমরা প্রায় ছয় সেশন ব্যাটিং করতে পেরেছিলাম। এই টেস্টে যদি আমরা চার বা পাঁচ সেশন ব্যাটিং করতে পারতাম, তাহলে ব্যাপারটা অন্যরকম হতে পারত। সেটা করতে পারিনি, দায় অবশ্যই আমাদের নিজেদের।”

ম্যাচে বাংলাদেশের ২০ উইকেটের ১৮টিই নিয়েছেন লঙ্কান স্পিনাররা। শ্রীলঙ্কার দুই পেসারের একজনকে শেষ ইনিংসে বলই হাতে নিতে হয়নি। অথচ বাংলাদেশের একাদশে পেসার ছিল তিন জন। একজন বাড়তি স্পিনার কি খেলাতে পারত বাংলাদেশ?

মুমিনুল এই ভাবনায় একমত নন। বরং ফিরে গেলেন তিনি সেই টসের প্রসঙ্গেই।

“শুরুতে দেখে উইকেট আগের টেস্টের মতোই লেগেছিল। একজন বাড়তি স্পিনার খেলানোর কথা যদি বলেন, আমরা যদি আগে ব্যাটিং করতাম চিত্রটা ভিন্নরকম হতো। ওরা হয়তো আমাদের জায়গায় থাকতো আজকে। আমরা ওদের জায়গায় থাকতাম।”

“এই সব উইকেটে খুব বেশি স্পিনার লাগে না, যেটা আমার কাছে মনে হয়। আমাদের তো দুইজন খুব ভালো মানের স্পিনারই আছে। আরেকটা স্পিনার আসলে লাগতো না। আমার মনে হয়, দুই স্পিনারই যথেষ্ট।”