শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বিবৃতিতে সোমবার জানিয়েছে, তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ করে দিতে অবসর নিয়েছেন থিসারা। গত মার্চে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে হয়ে থাকল দেশের হয়ে তার শেষ ম্যাচ।
৩২ বছর বয়সী পেস বোলিং অলরাউন্ডার নিশ্চিত করেছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।
চলতি মাসেই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য বাংলাদেশ সফরে আসার কথা শ্রীলঙ্কার। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো জানায়, লঙ্কান বোর্ড নতুন খেলোয়াড়দের সুযোগ দিতে থিসারাসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটারকে দলে না রাখার কথা জানায়। এরপরই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতি টানলেন ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী এই অলরাউন্ডার।
ওয়ানডে ক্রিকেটে অনিয়মিত হয়ে পড়লেও টি-টোয়েন্টির ভাবনায় ভালোভাবেই ছিলেন থিসারা।
২০০৯ সালে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পথচলা শুরু হয় থিসারার। এই সংস্করণে ১৬৬ ম্যাচ খেলে ১৭৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি, গড় ৩২.৭৯। এক সেঞ্চুরি ও ১০ ফিফটিতে রান করেছেন দুই হাজার ৩৩৮।
দ্রুত রান তোলার সামর্থ্য ছিল থিসারার। তাই স্ট্রাইক রেটের দিক থেকে জায়গা করে নিয়েছেন সেরাদের তালিকায়। তার ১১২.০৮ স্ট্রাইক রেট ওয়ানডেতে অন্তত দুই হাজার রান করেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ।
ওয়ানডের এক বছর পর টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় থিসারার। যেখানে ৮৪ ম্যাচে তার উইকেট ৫১টি। ৩ ফিফটিতে রান করেছেন এক হাজারের উপরে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গত মার্চে খেলেছেন এই সংস্করণে শেষ ম্যাচ। এই সংস্করণে নয়টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন দেশকে, ওয়ানডেতে তিনটি।
সীমিত ওভারের মতো লম্বা হয়নি থিসারার টেস্ট ক্যারিয়ার। ২০১১ সালে অভিষেকের পর খেলেছেন কেবল ৬টি ম্যাচ। শেষ ম্যাচ ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে ব্যাট-বলে বেশ ভালো করলেও সুযোগ পাননি আর।
হতাশায় ২০১৬ সালে ২৮ বছর বয়সে লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন থিসারা। এবার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকেও অবসর নিয়ে তিনি ইতি টানলেন ১২ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের।