সুপার ওভারে বোলিং চেয়ে নিয়েছিলেন আকসার

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অনেক দিন ছিলেন মাঠের বাইরে। আকসার প্যাটেলের আত্মবিশ্বাসে তাতে চোট লাগেনি একটুকুও। প্রথমবারের মতো মাঠে নেমে নিজ থেকেই চেয়ে নিলেন সুপার ওভারে বোলিংয়ের গুরুভার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে দিল্লি ক্যাপিটালসের জয়ে রাখলেন বড় বড় অবদান।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2021, 10:08 AM
Updated : 26 April 2021, 10:08 AM

চেন্নাইয়ে রোববার দিল্লির ১৫৯ রান তাড়ায় হায়দরাবাদও থামে ১৫৯ রানে। আইপিএল দেখে আসরের প্রথম সুপার ওভার।

গুরুত্বপূর্ণ ওভারটি দিল্লির হয়ে প্রথমে করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল আভেশ খানের। মূল ম্যাচে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার। কিন্তু এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামের স্পিনিং উইকেটের কথা মাথায় রেখে বোলিংয়ের জন্য এগিয়ে যান বাঁহাতি স্পিনার আকসার। অধিনায়ক রিশাভ পান্তের কাছে চান অনুমতি।

মাঠে নামার ঠিক আগ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদলায় দিল্লি। বল তুলে দেওয়া হয় করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠে এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে নামা আকসারের হাতে। ডেভিড ওয়ার্নার, কেন উইলিয়ামসনের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিংয়ে কেবল ৭ রান দিয়ে আস্থার প্রতিদান দেন তিনি।

রশিদ খানের ওভারে ৮ রান নিয়ে দলকে জয় এনে দেন শিখর ধাওয়ান ও পান্ত। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আকসার জানান, নিজ থেকেই সুপার ওভারে বোলিং করতে চেয়েছিলেন তিনি।

“যখন ড্রেসিং রুমে ছিলাম, ভাবছিলাম এই উইকেটে একজন স্পিনার বেশ কার্যকর হবে। ড্রেসিং রুম থেকে যখন বের হলাম, কোচ ও সবাই কথা বলছি। প্রথমে পেসার আভেশ খানকে বোলিং দেওয়ার ভাবনা ছিল, কারণ তারা (হায়দরাবাদ) ব্যাটিংয়ে বাঁহাতি-ডানহাতির কম্বিনেশন পাঠাবে।”

“এরপর যখন আমরা মাঠে ঢুকতে যাব, আমার মনে হয় একজন স্পিনার বেশি কার্যকর হবে। তাই আমি রিশাভকে বললাম, আমিও ওভারটি করতে পারব। সে তখন রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে কথা বলল এবং শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত হলো, আমি ওভারটি করব।”

গত ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে বল হাতে আলো ছড়ান আকসার। সিরিজে নেন ২৭ উইকেট, চারবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট। দারুণ ছন্দে থাকায় আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি।

“এমনকি কোভিডের আগেও আমি ভালো বোলিং করেছি, টেস্ট ম্যাচ এবং পরে টি-টোয়েন্টিতেও। তাই আমি ওই রকম আত্মবিশ্বাসী ছিলাম।”