বাংলাদেশের হতাশার সেশনে ব্যবধান কমাল শ্রীলঙ্কা

শুরুর কঠিন সময়টুকু দাঁতে দাঁত চেপে পার দিলেন দিমুথ করুনারত্নে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। পরে পেলেন সুফল। উইকেট নিতে মরিয়া বাংলাদেশের বোলিংয়ে নিয়ন্ত্রণ আলগা হলো খানিকটা। সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্যবধান দুইশ রানের কাছে নামিয়ে আনল শ্রীলঙ্কা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2021, 07:23 AM
Updated : 24 April 2021, 07:29 AM

পাল্লেকেলে টেস্টের চতুর্থ দিন লাঞ্চ বিরতিতে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৩ উইকেটে ৩৩১ রান।

প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে শনিবার ৩১ ওভারে ১০২ রান যোগ করেছে লঙ্কানরা।

প্রথম পানি পানের বিরতিতে ১৫ ওভারে তুলেছিল ৪২ রান, পরের ১৬ ওভারে এসেছে ৬০। সকালের সেশনের খেলার চিত্র স্পষ্টই ফুটে উঠেছে এখানে।  

করুনারত্নে ২৯০ বলে ১৩৯ রানে ব্যাট করছেন। ছাড়িয়ে গেছেন ২০১৭ সালে কলম্বো টেস্টে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার আগের সেরা ১২৬।

চতুর্থ উইকেটে অধিনায়কের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ১৪১ রানের জুটিতে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা খেলছেন ১৩৭ বলে ৭৪ রানে।

আগের দিন ৭ উইকেটে ৫৪১ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করা বাংলাদেশের চেয়ে শ্রীলঙ্কা পিছিয়ে ২১০ রানে।

৩ উইকেটে ২২৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা শ্রীলঙ্কা শুরুতে ছিল সাবধানী। ইবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলামের প্রথম স্পেল দেখেশুনে খেলে কাটিয়ে দেন করুনারত্নে ও ধনাঞ্জয়া।

৮১ ওভার পর দ্বিতীয় নতুন বল নেয় বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের করা প্রথম ওভারেই মিলতে পারত সাফল্য। দ্বিতীয় বলেই ব্যাটের কানায় লেগে অল্পের জন্য বোল্ড হননি ধনাঞ্জয়া।

আবু জায়েদের করা পরের ওভারে করুনারত্নের এলবিডব্লিউ রিভিউ নেন মুমিনুল হক। ইম্প্যাক্ট ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে।

খানিক পরে তাসকিনের বলে দুই রান নিয়ে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান করুনারত্নে। ৯৯ রানে ৮ বল আটকে থাকা লঙ্কান অধিনায়ক তিন অঙ্কে যান ২৪৭ বলে।

৮৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা লঙ্কান অধিনায়কের এটি একাদশ সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয়।

করুনারত্নের মাইলফলক ছোঁয়ার পর রানের গতি বাড়ায় শ্রীলঙ্কা। শুরুটা পানি পানের বিরতির আগের ওভার থেকে। তাসকিনের এক ওভারে করুনারত্নে মারেন তিনটি চার। 

রানের গতি একটু বাড়তেই যেন ধৈর্য হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। প্রচুর আলগা বল করে দেয় সহজ রান। বারবার বোলিং পরিবর্তন করে চেষ্টা করলেও প্রথম সেশন নিষ্ফলাই কাটে সফরকারীদের।

প্রথম স্পেলের পর যেন ছন্দ পাচ্ছেন না তাইজুল। নিষ্প্রভ আগের দিন চমৎকার বোলিং করা মেহেদী হাসান মিরাজ। বেশ ভালো করেছেন তাসকিন, তবে পাননি এর খুব একটা পুরস্কার।