‘পরের সিরিজেই হয়তো তিনে ফিরবে সাকিব’

সাকিব আল হাসানকে চার নম্বরে খেলানোর পরীক্ষা আপাতত শেষ বলেই ইঙ্গিত দিলেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক জানালেন, পরের সিরিজেই সাকিবকে তিন নম্বরে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। পাশাপাশি, সৌম্য সরকারকে ‘ফিনিশার’ বানানোর ভাবনা থেকেও দল সরে এসেছে বলে আভাস দিলেন তামিম।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2021, 02:01 PM
Updated : 2 April 2021, 02:11 PM

তামিম ওয়ানডের নেতৃত্ব পাওয়ার পর প্রথম সিরিজের আগে বর্তমান টিম ম্যানেজমেন্ট এই দুটি ব্যাটিং পজিশন নিয়ে বেশ চমক উপহার দেয়। তিন নম্বরে সাকিব দারুণ সফল হলেও গত জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে তাকে চারে নামিয়ে তিনে খেলানো হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। আর বরাবরই যিনি টপ অর্ডার, সেই সৌম্যকে ফিনিশারের ভূমিকা দিয়ে নামিয়ে দেওয়া হয় সাত নম্বর পজিশনে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে তিন নম্বরে তিন ইনিংস খেলে ব্যর্থ হন শান্ত। এরপর আর নিউ জিল্যান্ডে একাদশে জায়গা হয়নি এই বাঁ হাতির। ছুটির কারণে এই সফরে ছিলেন না সাকিবও। সৌম্যকে উঠিয়ে আনা হয় তিনে। যথারীতি তিনিও ব্যর্থ তিন ইনিংসে।

টিম ম্যানেজমেন্ট তাই করণীয় বুঝে গেছে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্যাটিং পজিশনের প্রসঙ্গে তামিম জানিয়ে দিলেন তাদের ভাবনা।

“সবকিছুর পক্ষেই যুক্তি ছিল। সাকিবের সঙ্গে আমি কথা বলে নিয়েছিলাম। তার আগে টিম ম্যানেজমেন্টের একটা আলোচনা ছিল, যেখানে সাকিবও ছিল। ওকে ব্যাখ্যা করা হয়েছিল, যে কেন ওকে চার নম্বরে চিন্তা করা হচ্ছে। তারপরও আমি আলাদা করে ওর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। ওর আপত্তি ছিল না। ও বলেছিল, অনেক দিন পর ফিরে আসছে, চারে খেলতে সমস্যা নেই।”

“তবে ও তিনে ফিরবে। কারণ তিনে ওর এত ভালো রেকর্ড, খুব সম্ভবত তাকে তিনে দেখবেন। হতে পারে, পরের সিরিজেই।”

সাক্ষাৎকার

তামিমের পুরো সাক্ষাৎকারটি পড়ুন শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে।

তিন নম্বরে ২৩ ইনিংস খেলে সাকিবের ব্যাটিং গড় ৫৮.৮৫। স্ট্রাইক রেট ৮৮.৭৬। তিন নম্বরে অন্তত ২০ ইনিংস ব্যাট করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সাকিবের চেয়ে ভালো গড় ওয়ানডে ইতিহাসে আছে কেবল দুই জনের। এখানে বিরাট কোহলির গড় ৬২.৪৪, বাবর আজমের ৬২.০২।

সৌম্যকে নিয়ে পরীক্ষা আসলে শুরুর আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। ফিনিশার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে কেবল একটি ম্যাচেই ব্যাট করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সেটিও একদম শেষ সময়ে। এরপর তো নিউ জিল্যান্ডে গিয়ে আবার টপ অর্ডারে।

এখন তামিম যা বলছেন, তাতে সৌম্যর দলের জায়গা ধরে রাখাই কঠিন।

“সৌম্যর ব্যাপারে…তখন বলেছিলাম যে অনেক আগেই ওকে জানানো হয়েছিল সাতে খেলার কথা। সে রাজি হয়েছিল, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এটিই। চেষ্টা করতে চেয়েছিল। একটা ম্যাচেই কেবল সুযোগ পেয়েছে, তবু শেষ দিকে। নিউ জিল্যান্ডে যাওয়ার পর আমরা সৌম্যকে ছয়ে ভাবছিলাম, একইরকম ভূমিকায়। কিন্তু তিনে ব্যাট করার মতো কেউ ছিল না। যারা ছিল, তাদের মধ্যে সৌম্যকেই উপযুক্ত মনে হয়েছে।”

“তারপরও সিরিজের সময় ওর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে ব্যাটিং পজিশন নিয়ে। হয় ওকে সাতে ফিরে যেতে হবে, অথবা ওপেনিং বা তিন নম্বর পজিশনের ব্যাটসম্যানের সঙ্গে লড়াই করতে হবে। সৌম্য আমাকে একটা পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে, সে কী চায়। আমার আর আমার টিমমেটের মধ্যে কথা হয়েছে, সেটা আমাদের মধ্যেই থাকুক। সামনে যখন দল দেখবেন, তখন আপনারা বুঝতে পারবেন যে আমাদের আলোচনা কী হয়েছে।”