নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ আগামী ২ জুন। আইপিএলের প্লে অফে ওঠা দলগুলিতে থাকবেন যে ইংলিশ ক্রিকেটাররা, তারা নিশ্চিত ভাবেই খেলতে পারবেন না লর্ডসের সেই টেস্ট ম্যাচ। ইংল্যান্ডের বোর্ডও আগেই তাদের অনুমিত দিয়ে রেখেছে আইপিএল খেলার।
এসব নিয়েই কিছুদিন ধরে উত্তাল ইংলিশ ক্রিকেট। দেশের খেলা বাদ দিয়ে আইপিএল খেললে বেতন কেটে রাখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ইংলিশ গ্রেট জেফ বয়কট।
ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে বাটলারের ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনেও ঝড় তুলল আইপিএল প্রসঙ্গ। বাটলার অকপটেই মেনে নিলেন আইপিএলের আর্থিক ও অন্যান্য বাস্তবতা।
“ আইপিএলের সুবিধাগুলো আমরা সবাই জানি। অনেক বড় টুর্নামেন্ট এটি, আর্থিক পুরষ্কারও সুস্পষ্ট। পাশাপাশি যেরকম অভিজ্ঞতা এখানে অর্জন করা যায়… এবং আরও অনেক ইতিবাচক দিক আছে। ইংল্যান্ডের যতজন ক্রিকেটার আইপিএলে খেলে এবং এটা আমাদের জন্য কতটা উপকার করেছে, সাদা বলের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের উন্নতিতেই তা স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।”
টেস্ট যে মিস করতে হতে পারে, এটা মেনে নিচ্ছেন বাটলার। আবারও তিনি জানিয়ে দিলেন, এখনকার বাস্তবতায় আইপিএলকে এড়িয়ে যাওয়া কতটা কঠিন।
“ হ্যাঁ, এটা হতে পারে (টেস্ট বাদ)। নিউ জিল্যান্ডের টেস্ট গুলো পরে যোগ করা হয়েছে (সূচিতে)। আর কয়েকজন ক্রিকেটার এমনিতেও মিস করতেই পারত। সূচিটা অবশ্যই কঠিন ও নিখুঁত সমাধানের উপায় নেই। ইসিবি ও ক্রিকেটাররা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে সমাধান বের করতে। নিখুঁত উত্তর বলে কিছু আছে? আমাদের এই সময়ে সম্ভবত নেই।”
“আইপিএলে যে পরিমাণ অর্থ জড়িয়ে, অনেকের জন্যই তা দারুণ লাভজনক। অর্থের দিক থেকে এটিই সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট।”
বাটলারের মতে, ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের আইপিএলে যে তুমুল চাহিদা, এটিও ইংলিশ ক্রিকেটের একটি স্বীকৃতি।
“ ইংলিশ ক্রিকেটের মুকুটে একটি পালক এটিও যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডের ১২ জন ক্রিকেটারের প্রতি আকর্ষণ ছিল।”
এই বছরই অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে ভারতে। আইপিএলের অভিজ্ঞতায় ইংল্যান্ড দলেরই লাভ হবে বলে মনে করেন বাটলার।
“ এবারের আইপিএল ভারতেই হচ্ছে, বিশ্বকাপও এখানে হবে। ক্রিকেটারদের উন্নতি, স্কিল ও শেখার দিক থেকে এটি নিশ্চিত বড় সুযোগ সবার জন্য।”
ভারত-ইংল্যান্ডের ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু শুক্রবার।