প্রস্তুতি ম্যাচের ধুসর উইকেটে দারুণ বোলিংয়ে নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছিলেন কর্নওয়াল। পরে চট্টগ্রাম টেস্টেও ভালো করেন। সেখানে এক পাশ থেকে চাপে রেখেছিলেন স্বাগতিক ব্যাটসম্যানদের। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়ে উইকেট নেন আরেক স্পিনার জোমেল ওয়ারিক্যান।
ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাঁহাতি এই স্পিনার ছিলেন যেন নিজের ছায়া হয়ে। তাই বাড়তি দায়িত্ব নিতে হয় কর্নওয়ালকে। রানের গতিতে বাঁধ দেওয়ার সঙ্গে উইকেটও নিতে হয়েছে তাকে।
লাইন, লেংথ ও গতির বৈচিত্রে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার পেলেন পাঁচ উইকেট। বাংলাদেশকে ২৯৬ রানে থামিয়ে দলকে এনে দিলেন ১১৩ রানের লিড।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে কর্নওয়াল জানান, কোচরা আগেই বলেছিলেন, এখানে সাফল্য পেতে ধৈর্য ধরতেই হবে।
“কন্ডিশন এখন পর্যন্ত ভালো। পিচ একটু মন্থর। তবে চট্টগ্রামের চেয়ে ঢাকার উইকেটে বাউন্স একটু বেশি। এখানে ধৈর্য ধরতে হবে। স্টাম্প সোজা বোলিং করতে হবে এবং বাউন্স ও স্পিনের জন্য চেষ্টা করতে হবে। বোলিং কোচও আমাকে এটাই বলেছেন।”
আগের দিন বাড়তি বাউন্স করা বলে মুমিনুল হককে ফিরিয়েছিলেন কর্নওয়াল। পরদিন দুটি উপহার মেলে মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিমের কাছ থেকে। মুহূর্তের অমনোযোগিতায় শর্ট মিডউইকেটে ক্যাচ দেন মিঠুন। ব্যাখ্যাতীত রিভার্স সুইপে শর্ট কাভারে ধরা পড়েন বাংলাদেশের সফলতম টেস্ট ব্যাটসম্যান মুশফিক।
মেহেদী হাসানের সঙ্গে শতরানের জুটি গড়া লিটনও আউট হন আপাত সাদামাটা এক ডেলিভারিতে। কর্নওয়ালের অফ স্টাম্পের বাইরের বল প্যাডেল সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন এই কিপার-ব্যাটসম্যান। বল ব্যাটের নিচের কানা ছুঁয়ে পেছনে পায়ে লেগে ক্যাচ যায় লেগ স্লিপে। লিটনের মনোভাব বুঝে প্রথম স্লিপ থেকে আগেই সেদিকে দৌড় দেওয়া জার্মেইন ব্ল্যাকউড মুঠোয় জমান সহজ ক্যাচ।
একবার জীবন পেয়েও পরের বলেই ব্ল্যাকউডকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন নাঈম হাসান। ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে ধৈর্যের পরীক্ষায় নেমে কর্নওয়াল ৭৪ রানে পান ৫ উইকেট। দারুণ বোলিংয়ে তিনিই ক্যারিবিয়ানদের সফলতম বোলার।