গত ডিসেম্বরে দলের বাড়তি উইকেটকিপার হিসেবে নিউ জিল্যান্ড সফরে গিয়েছিলেন জশুয়া। সফরে প্রথম টেস্টের পর মূল কিপার শেন ডাওরিচ ব্যক্তিগত প্রয়োজনে হুট করে দেশে ফিরলে দ্বিতীয় টেস্টে অভিষেক হয় জশুয়ার। প্রথম ম্যাচেই দ্বিতীয় ইনিংসে উপহার দেন ফিফটি। ওই এক টেস্টের অভিজ্ঞতায় আসেন এবার বাংলাদেশ সফরে।
চট্টগ্রাম টেস্টে দলের জয়ে জশুয়ার ছিল উল্লেখযোগ্য অবদান। প্রথম ইনিংসে খেলেন ৪২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে কেবল ২০ রান করলেও শেষ দিনে কাইল মেয়ার্সের সঙ্গে তার শতরানের জুটি ছিল মহামূল্য।
এরপর মিরপুর টেস্টে দারুণ ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনীতে সুবাস পাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির। কিন্তু তা হারিয়ে যায় তাইজুলের বলে ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড হওয়ায়। থেমে যান তিনি ১৮৭ বলে ৯২ করে।
আউট হয়ে ফেরার সময় তার প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট ফুটে উঠেছিল হতাশা। দিন শেষে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানোর পালায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না উপযুক্ত শব্দ। মুচকি হাসিতে ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটার ফুটিয়ে তুললেন মনের ব্যথা।
“৮ রানের ঘাটতি…আমি এমনকি বলেও বোঝাতে পারব না কেমন লাগছে বা এটার মানে কী। মনে হচ্ছে, বলটি যদি আবার ফিরে পেতাম! এই নিয়ে দুইবার আমি এভাবে আউট হলাম। আশা করি, পরের বার এভাবে আর আউট হবো না।”
এই ম্যাচের আগে চট্টগ্রামেও দল যখন জয়ের কাছে, তাইজুলের বলে এভাবেই বোল্ড হয়েছিলেন জশুয়া।
দুইবার একইভাবে আউট হলেও স্পিন খেলার দক্ষতা তিনি যথেষ্টই দেখিয়েছেন। উপমহাদেশে প্রথম সফরে ধুঁকেছেন এমনকি অনেক গ্রেট ব্যাটসম্যানও। জশুয়া জানালেন, তিনি কীভাবে সফল হলেন।
“আমি সবসময়ই স্পিন ভালো খেলি। নিচু বাউন্সের উইকেটে তাই মানিয়ে নিয়েছি। অনেকটা আমাদের দেশের মতোই, তবে পরিস্থিতি আলাদা। আমি চেষ্টা করেছি নিজের ভূমিকা রাখতে।”
“(স্পিন খেলতে গুরুত্বপূর্ণ) লাইন-লেংথ যতটা সম্ভব আগেই পড়ে ফেলা। উইকেটে বিচরণ, সামনে যাওয়া-পেছনে আসা ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া নিয়ে অনেক কাজ করেছি আমাদের ব্যাটিং কোচ মন্টির সঙ্গে। সেটিই কাজে দিয়েছে।”