আগের মতোই ২০ ওভারের ক্রিকেটে দলে জায়গা হয়নি জো রুট ও অ্যালেক্স হেলসের।
গত নভেম্বর-ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করা দলটির ওপরই মূলত আস্থা রেখেছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। শুধু যোগ করা হয়েছে বিগ ব্যাশ মাতানো উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লিয়াম লিভিংস্টোনকে।
বৃহস্পতিবার ঘোষিত ১৬ জনের দল ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি। আগামী ১২ মার্চ শুরু হবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। সবকটি ম্যাচই হবে আহমেদাবাদে।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিষয়টি মাথায় রেখেই দল সাজিয়েছে ইংল্যান্ড।
গত এক বছর ধরে নির্বাচকদের বিবেচনায় ছিলেন লিভিংস্টোন। গত বছর আয়ারল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে ছিলেন তিনি। করোনাভাইরাসের কারণে কোনো সিরিজই অবশ্য মাঠে গড়াতে পারেনি। গত অগাস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ছিলেন টি-টোয়েন্টি দলের রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে।
২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় লিভিংস্টোনের। এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে খেলা দুই টি-টোয়েন্টির শেষটিও তিনি খেলেন ওই সফরেই। সদ্য শেষ হওয়া বিগ ব্যাশে দারুণ খেলে আবারও দেশের হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় ২৭ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান।
অস্ট্রেলিয়ার ফ্রাঞ্চাইজি এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে পার্থ স্কর্চার্সের হয়ে ১৪ ম্যাচে তিনি করেন ৪২৬ রান।
এছাড়া রিজার্ভ হিসেবে দলে রাখা হয়েছে পেসার জ্যাক বল ও স্পিনার ম্যাট পার্কিনসনকে।
ভারত সফরে বর্তমানে চার টেস্টের সিরিজের প্রথমটিতে জিতে এগিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড। এরপর শুরু হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও খেলবে ইংলিশরা।
টি-টোয়েন্টির ইংল্যান্ড দল: ওয়েন মর্গ্যান (অধিনায়ক), মইন আলি, জফ্রা আর্চার, জনি বেয়ারস্টো, স্যাম বিলিংস, জস বাটলার, স্যাম কারান, টম কারান, ক্রিস জর্ডান, লাইম লিভিংস্টোন, দাভিদ মালান, আদিল রশিদ, জেসন রয়, বেন স্টোকস, রিস টপলি, মার্ক উড।
রিজার্ভ: জ্যাক বল, ম্যাট পার্কিনসন।