টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট দিয়ে ক্রিকেট ফিরছে দেশে

জাতীয় ক্রিকেটারদের স্কিল ক্যাম্প চলবে আরও ১৫ দিন। ক্যাম্প শেষে যত বেশি সম্ভব ক্রিকেটার নিয়ে আয়োজন করা হবে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। এরপর চেষ্টা করা হবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগসহ অন্যান্য লিগ আয়োজনের। বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হওয়ার পর দেশে ক্রিকেট ফেরানোর এই পরিকল্পনা সাজিয়েছে বিসিবি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Sept 2020, 12:37 PM
Updated : 28 Sept 2020, 02:26 PM

জাতীয় ক্রিকেটারদের ক্যাম্পে রোববার থেকে চলছে তিন দিনের বিরতি। অনুশীলন আবার শুরুর পর নিজেদের মধ্যে দুটি দুই দিনের ও একটি তিন দিনের ম্যাচ খেলবে ক্রিকেটাররা। এই সময়েই দেশে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানোর সব আয়োজন সম্পন্ন করা হবে বলে সোমবার সংবাদমাধ্যমকে জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।

“করোনা পরিস্থিতি তো আমাদের এখানে এখনও ভালো হয়নি যে সব শুরু করে দিতে পারব। তবে আমরা খেলা শুরু করব। ক্যাম্প চলবে আরও ১৫ দিন। এরপরই আমরা ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করব। ঘরোয়া ক্রিকেটের দুটি ভাগ আছে। প্রথমে আমরা চিন্তা করছি, যদি ৫-৬টি দল নিয়ে করি, ৬টি দল হলে, ৯০ জন ক্রিকেটার। যত বেশি ক্রিকেটারকে রাখা যায়, তত ভালো। ওদেরকে নিয়ে যদি একটা টুর্নামেন্ট করতে পারি, কর্পোরেট লিগ হতে পারে বা বিসিবির দল, বা যে কোনো কিছু।”

“আবার চিন্তা করছি, মানে যেটা কথা হয়েছে, এমনও হতে পারে, আমাদের জাতীয় দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দল, এইচপি, ওদের নিয়ে তিন-চারটা দল করে ফেললাম। ওদের নিয়ে একটা টুর্নামেন্ট ছেড়ে দিলাম, বিসিবির স্পন্সরে, এটাও সম্ভব। এটা নিয়েই আজকে আলাপ হয়েছে। দুটির একটি অবশ্যই করে ফেলব।”

এই টুর্নামেন্ট হবে ২০ ওভারের সংস্করণে। এরপর ঘরোয়া ক্রিকেটে মূল স্রোতে প্রবেশ করার চেষ্টা করা হবে বলে জানালেন বিসিবি সভাপতি।

“এই টুর্নামেন্টের পর ঘরোয়া ক্রিকেট লিগের খেলাগুলো চালু করব। প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ, প্রিমিয়ার লিগ, যা যা বাকি আছে, সব শেষ করে ফেলব। এটার প্রস্তুতির জন্য এই সময়টা নিচ্ছি, যেন খেলার মধ্যেই আমরা থাকি।”

তবে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটি নিশ্চিত হলেও ঘরোয়া অন্যান্য টুর্নামেন্টগুলো নির্ভর করবে অনেক পারিপার্শ্বিকতার ওপর। ক্রিকেটারদের নিরাপদ থাকার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে, বললেন বিসিবি প্রধান।

“খেলা চালু করা তো গুরুত্বপূর্ণ নয়, কথা হলো আমরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করব কিভাবে? খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই আমি বলেছি ক্লাবগুলোকে ডাকতে, খেলোয়াড়দের সঙ্গে বসতে এবং আমাদেরকে একটা পরিকল্পনা দিতে। আমাদের কাছে যদি মনে হয় সেই পরিকল্পনা মোটামুটি সন্তোষজনক, তাহলে আমরা দ্রুত খেলা চালু করে দেব।”

“আমরা যদি অন্যান্য দেশের দিকে তাকাই, বিশেষ করে ইউরোপে, যত দিন যাচ্ছে, সেখানকার পরিস্থিতি আরো খারাপ হচ্ছে। ওরা বলছে সামনে আরও খারাপ হবে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের এখানে কী হবে, আমরা তো বলতে পারছি না। কাজেই আমাদেরকে সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। ঢিলেমি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”

গত মার্চের মাঝামাঝি প্রিমিয়ার লিগের খেলা এক রাউন্ড হয়েই স্থগিত হয়ে গেছে। আবার খেলা মাঠে গড়ানোর সময় শুরু হয়ে যাবে নতুন মৌসুম। প্রিমিয়ার লিগ তাহলে কোন মৌসুমেরটি হবে? বিসিবি সভাপতি শোনালেন ক্রিকেটারদের জন্য আশার কথা।

“চেষ্টা তো করব যেটা স্থগিত আছে, সেটা আয়োজন করার। এরপর আগামী বছরেরটা আগামী বছর হবে। আমাদের ইচ্ছা দুটোই করা। যদি না হয় তাহলে এবারের যেটা বাকি, সেটা সামনের বছর হবে, সামনের বছরেরটা হবে না। সবকিছু এখন আগাম বলাটা কঠিন। পরিস্থিতি কী হবে, সেটার উপর নির্ভর করছে সবকিছু।”

“আগে আমার দেখতে হবে কোথায় খেলা হবে, খেলোয়াড়রা কোথায় থাকবে, ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা বলতে হবে। ওদেরকে তো অনেককিছু মেইনটেইন করতে হবে। তাহলে আমাদেরকে একটা গাইডলাইন দিতে হবে। এই গাইডলাইন দেখে কোন কোন ক্লাব রাজি খেলার জন্য, সেটাও জানতে হবে। এই সবকিছু নিয়ে আমি বসতে বলেছি। আমার মনে হয় আগামী ৫-৬ দিনের মধ্যে মনে হয় সবকিছু জেনে যাব।”