বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত আফিফ খেলেছেন শুধু সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে তেমন কিছু করতে না পেরে জায়গা হারান দলে। গত বছর ত্রিদেশীয় সিরিজে সুযোগ পেয়ে এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক ম্যাচে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলে জেতান দলকে। এরপর থেকে এই সংস্করণে খেলছেন নিয়মিত। গত মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার ওয়ানডে অভিষেকের কিছুদিন পরই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বন্ধ হয়ে যায় দেশের সব খেলা।
ক্রিকেটবিহীন গত কয়েক মাসে জাতীয় দলের কোচিং স্টাফদের সঙ্গে কয়েকটি অনলাইন সেশন হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের। যেখানে একদিন অতিথি হয়ে এসেছিলেন সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান ও ভারতের বিশ্বকাপজয়ী কোচ গ্যারি কার্স্টেন। বৃহস্পতিবার মিরপুরে একক অনুশীলনের ফাঁকে আফিফ বললেন, সেসব অনলাইন সভা অনেক কাজে লেগেছে তাদের।
“লকডাউনের সময়টা অবশ্যই কঠিন গেছে। আমাদের কোচিং স্টাফ, ট্রেনাররা যেসব সূচি তৈরি করে দিয়েছে, তা বাসায় করার চেষ্টা করেছি। এছাড়া অনলাইনে যেসব সভা হয়েছে সেগুলো অনেক উজ্জীবিত করেছে। আর এখন মিরপুরে এসে অনুশীলন করতে পেরে ভালো লাগছে। নিজের যেসব সেশন দরকার, তা করতে পারছি। আশা করি, এগুলো সামনে ভালো কাজে দেবে।”
তিনটি টেস্ট খেলতে আগামী মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। নিজের সম্ভাবনা নিয়ে ভাবছেন না আফিফ। আবার যে মাঠে ফিরছে ক্রিকেট, তাতেই স্বস্তি তরুণ এই অলরাউন্ডারের। একই সঙ্গে নিজের কাজটাও করে যাচ্ছেন তিনি।
“সকল খেলা বন্ধ ছিল, অবশ্যই এটা খেলোয়াড় হিসেবে কঠিন। সামনে খেলা শুরু হচ্ছে, এটা অবশ্যই ভালো দিক। সামনের খেলাগুলোতে যেন ভালো করতে পারি সে আশাই রাখি। আপাতত সে অনুযায়ী অনুশীলন করছি।”
“লকডাউনের সময়টাতে আসলে ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা করার অনেক সময় পেয়েছি। আমাদের সাবেক ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে অনলাইনে আলোচনায় ব্যাটিংয়ের কিছু টেকনিক নিয়ে কাজ করেছি। আর ওগুলোই আপাতত করার চেষ্টা করছি। ওগুলো ঠিকঠাক করতে পারলে হয়তো আরও ভালো পারফর্ম করতে পারব।”