কোহলি নেতৃত্বে টেস্টে তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। ঘরের মাঠে আধিপত্য আরও বেড়েছে। প্রতিপক্ষের মাঠেও দেশটি সিরিজ জিততে শুরু করেছে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে সবার ওপরে রয়েছে কোহলির দল। টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় থাকা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ২ ও নিউ জিল্যান্ডের চেয়ে ১ পয়েন্টে পিছিয়ে তিন নম্বরে তারা।
বর্তমান দলে কোনো ঘাটতি দেখেন না গাভাস্কার। ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক এই অধিনায়ক জানান, ভারতের এমন পরিপূর্ণ টেস্ট দল তিনি চিন্তাই করতে পারেন না।
“আমার বিশ্বাস, ভারসাম্য, সামর্থ্য, দক্ষতা, মানসিক দিক থেকে এই দলটি সর্বকালের সেরা ভারতীয় টেস্ট দল। এর চেয়ে ভালো ভারত টেস্ট দল ভাবা যায় না। এই দলের যেকোনো মাঠে জেতার বোলিং আক্রমণ রয়েছে। তাদের কন্ডিশনের কোনো সহায়তার দরকার নেই। তারা যেকোনো মাঠে জিততে পারে। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে আশির দশকের দলের মতো। কিন্তু তাদের বিরাটের দলটির মতো বোলার ছিল না।”
ব্যাটিংয়ে সব সময়ই সেরা দলগুলোর একটি ভারত। সেই তুলনায় যুগ যুগ ধরে পরিণত ছিল না তাদের বোলিং আক্রমণ। এখন সেটি কাটিয়ে উঠেছে দলটি। দীর্ঘ সময় স্পিনারদের দেশ হয়ে থাকা ভারতের বোলিং আক্রমণে এখন আছে গতিময় ও দক্ষ সব পেসার।
২০১৮-১৯ মৌসুমে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জেতায় সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল ভারতীয় পেসারদের। তবে গাভাস্কার মনে করিয়ে দিলেন, এর আগে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের কথা। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সিরিজ দুটি হেরেছিল ভারত।
তার মতে, বোলারদের সঙ্গে ব্যাটসম্যানদেরও পালন করতে হবে ভুমিকা। দলকে এনে দিতে হবে লড়াই করার পুঁজি। এখনকার ভারতীয় দল নিয়ে অবশ্য আশাবাদী গাভাস্কার। তার বিশ্বাস, ডিসেম্বরের অস্ট্রেলিয়া সফরে দুই বিভাগেই সামর্থ্যের প্রমাণ দেবে ভারত।
“কোনো সন্দেহ ছাড়াই বলা যায়, বর্তমানে ভারতের এমন একটি বৈচিত্র্যময় বোলিং আক্রমণ আছে, যা খুবই জরুরি। কথায় বলে, যদি ২০ উইকেট নেওয়া না যায়, তাহলে টেস্ট ম্যাচ জেতা যায় না। নিজেদের সংগ্রহের চেয়ে এক রান কমে হলেও অস্ট্রেলিয়ার ২০ উইকেট নেওয়ার বোলিং আক্রমণ আছে আমাদের। একই সঙ্গে রানও করতে হবে। ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে সেটা আমরা দেখেছি। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০১৭ সালের সফরেও দেখেছি।”
“আমরা প্রতিবারই ২০ উইকেট নিয়েছি কিন্তু পর্যাপ্ত রান করতে পারিনি। তবে আমার মনে হয়, এখন অস্ট্রেলিয়ানদের চেয়ে বেশি রান করার ব্যাটিং সামর্থ্য আছে আমাদের।”