ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বাবরের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। চাপের মধ্যে নেমে দুর্দান্ত সব স্ট্রোক খেলেছেন। বিরাট কোহলির সঙ্গে তার তুলনা, সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে জায়গা, এসব নিয়ে আলোচনা তখন উচ্চকিত হচ্ছিল আরও। তবে ৬৯ রানে তিনি আটকা পড়েন জিমি অ্যান্ডারসনের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের ফাঁদে।
বোলারদের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান পেয়েছিল ১০৭ রানের লিড। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে তারা গুটিয়ে যায় কেবল ১৬৯ রানেই। বাবর করতে পারেন ৫ রান।
শেষ ইনিংসে ২৭৭ রান তাড়ায় ১১৭ রানে ৫ উইকেট হারালেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ড ম্যাচ জিতে নেয় ৩ উইকেটে।
ওয়াসিম আকরামসহ সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকারদের অনেকে পাকিস্তান অধিনায়ক আজহার আলির বোলিং ও ফিল্ডিং পরিবর্তনে দুর্বলতা দেখেছেন। তবে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শোয়েব বলেছেন, পাকিস্তানের সর্বনাশ হয়ে গেছে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংয়েই।
“ পাকিস্তানের সুযোগ ছিল লিড আরও বাড়ানোর কিন্তু তারা কিছু ভুল করেছে। এসব ভুল তারা যুগ যুগ ধরেই করে আসছে। ব্যাটিংই দলকে ডুবিয়েছে। আমাদের প্রয়োজন ছিল জুটি গড়া, বাজে বল পেলেই কেবল শট খেলা। দারুণ সুযোগ ছিল ৩৫০-৪০০ রানের লক্ষ্য দেওয়ার।”
“ কিন্তু পাকিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যানদের কেউই রান করতে পারেনি। বড় ক্রিকেটার হতে হলে, নাম বানাতে হলে, এসব পরিস্থিতিতেই নিজেকে মেলে ধরতে হয়। ১০৭ রানের লিড কাজে লাগাতে না পারলে, কেউ যত বড় ব্যাটসম্যানই হোক না কেন, সে কোনো কাজের নয়।”
প্রথম ইনিংসে ১৫৬ রানের অসাধারণ ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্যতে বিদায় নিয়েছেন শান মাসুদ। অভিজ্ঞ আসাদ শফিক থিতু হওয়ার পর রান আউটে ফিরেছেন দ্রুত সিঙ্গেলের চেষ্টায়। তবে শোয়েবের মূল হতাশা বাবরকে ঘিরে।
“ শান মাসুদের দুর্ভাগ্য, তবে ম্যাচে সে তার ভূমিকা আগেই পালন করে ফেলেছে। আসাদ শফিক রান আউট হয়েছে, দোষ তার নিজেরই। কিন্তু বাবর আজমের উচিত ভালো কিছু উপহার দেওয়া, কারণ এভাবে নিজের নাম তৈরি করা যায় না। হতে পারে সে ভালো ক্রিকেটার, কিন্তু তাকে হয়ে উঠতে হবে ম্যাচ জেতানো ক্রিকেটার।”