কোহলিকে জুনাইদ বলেছিলেন, ‘দেখে নেব’

ভারতের উইকেটে বল সুইং করে না, সিরিজ শুরুর আগে জুনাইদ খানকে মজা করে খোঁচা দিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। জুনাইদের জবাব ছিল, “ঠিক আছে, দেখে নেব।” তা তিনি দেখে নিয়েছিলেন বটে। ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচে শুধু আউট করাই নয়, পাকিস্তানি পেসার একরকম বোতলবন্দি করে রেখেছিলেন কোহলিকে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2020, 06:27 AM
Updated : 27 July 2020, 08:32 AM

একটি ইউটিউব শোতে জুনাইদ বলছিলেন ২০১২-১৩ সালের সিরিজের কথা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের সবকটিতে সেবার কোহলিকে আউট করেছিলেন জুনাইদ। ভারতে গিয়ে পাকিস্তান জিতেছিল সিরিজ।

ওই সিরিজের আগে অসাধারণ ফর্মে ছিলেন কোহলি। সিরিজের আগের ৯ ইনিংসে ছিল ৫ সেঞ্চুরি ও ১ ফিফটি। এর মধ্যে এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষেই মিরপুরে ১৮৩ রানের বিধ্বংসী অপরাজিত ইনিংসটিও ছিল। কিন্তু দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে কোহলি ছিলেন ব্যর্থ, পেরে ওঠেননি মূলত জুনাইদের সঙ্গেই।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে চেন্নাইতে জুনাইদের ৫ বল খেলে শূন্য রানে ফিরেছিলেন কোহলি। দ্বিতীয় ম্যাচে কলকাতায় কোহলির রান ছিল ৯ বলে ৬, কিন্তু জুনাইদের ৪ বলে শূন্য করে আউট হয়েছিলেন। শেষ ম্যাচে কোহলি করেছিলেন ১৭ বলে ৭। জুনাইদের ১২ বল খেলে করতে পেরেছিলেন ১।

সব মিলিয়ে তিন ম্যাচে জুনাইদের ২১ বলে কোহলির রান ছিল ১, আউট হয়েছিলেন তিনবার।

সেই সিরিজে ফিরে তাকিয়ে পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার শোনালেন, কীভাবে কোহলির বিপক্ষে সাফল্য পেয়েছিলেন।

“ তখন আমি টেস্ট দলে নিয়মিত ছিলাম। কিন্তু ওয়ানডে দলে ফিরলাম ওই সিরিজ দিয়ে। এজন্য নিজেকে প্রমাণ করার তাগিদ ছিল। এটাও জানতাম, ভারতের বিপক্ষে ভালো করলে প্রশংসাও মিলবে অনেক। এজন্য ঠিক করেছিলাম, রান যতই যাক, উইকেট প্রচুর নিতে হবে।”

“ একটু চাপও ছিল, প্রথম বলটি ‘নো’ বল করলাম। পরে তাকে পরাস্ত করতে পারলাম। তখন মনে হলো, ‘সাধারণ ব্যাটসম্যানই তো সে।’ আত্মবিশ্বাস পেয়ে গেলাম। সিরিজ শুরুর আগে বিরাট আমাকে মজা করে বলেছিল, ‘আমাদের ঘরের মাঠে খেলা, সুবিধা করতে পারবে না। এখানে সুইংও হবে না।’ আমিও মজা করেই বলেছিলাম, ‘ঠিক আছে, দেখে নেব আমিও।’ বিশ্বাসটা ছিল, কারণ তখন আমি ছন্দে ছিলাম।”

জুনাইদ জানালেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রচুর বোলিং করে ছন্দে ছিলেন বলেই আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলেন তিনি।

“ ওই সিরিজের আগে ফয়সালাবাদে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলছিলাম। প্রতি ম্যাচে ৩৫-৪০ ওভার বোলিং করেছি। এজন্যই খুব ভালো ছন্দে ছিলাম।”

কোহলিকে সেবার দাঁড়াতে না দিলেও জুনাইদ এটা স্বীকার করে নিলেন, ভারতীয় অধিনায়কই সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান।

“ কোনো সন্দেহ নেই, তিন সংস্করণ মিলিয়ে কোহলিই সেরা। বাবর আজম, জো রুট, কেন উইলিয়ামসন, স্টিভ স্মিথ, ওরা প্রজন্মের সেরা ব্যাটসম্যান। কিন্তু যে কাউকে জিজ্ঞেস করুন, সবাই বলবে, সবার ওপরে কোহলি। কারণ তিন সংস্করণেই সে অসাধারণ পারফর্ম করে চলেছে।”

ওই সিরিজের পর নানা সময়ে আরও তিন ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে খেলেছেন জুনাইদ। কিন্তু কোহলির উইকেট আর পাননি।

৩০ বছর বয়সী জুনাইদ পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন ২২ টেস্ট ও ৭৬ ওয়ানডে। সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন গত বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে। সবশেষ টেস্ট খেলেছেন তিনি ৫ বছর আগে।