অলরাউন্ডার হিসেবে সম্মান, তারকাখ্যাতি, বিশ্ব ক্রিকেটে নায়কের স্বীকৃতি, এসবে অনেক এগিয়ে স্টোকস। গত প্রায় দেড় বছর ধরে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডার হলেও ক্রিকেটের দৈনন্দিন আলোচনায় সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে সেভাবে বিবেচনায় আসেন না হোল্ডার।
টেস্ট সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে হোল্ডার খানিকটা আক্ষেপ করলেন সেটি নিয়ে। স্টোকসকে প্রাপ্য কৃতিত্ব দিতে অবশ্য তার আপত্তি নেই।
“ ব্যক্তিগত স্বীকৃতি বা আইসিসি র্যাঙ্কিং আসলে আমাকে ততটা ভাবায় না। বেনকে (স্টোকস) নিয়েই সবসময় আলোচনা হয়, সেটি যৌক্তিকভাবেই। সে আসলেই দারুণ ক্রিকেটার। কিন্তু আইসিসি র্যাঙ্কিং বলছে, আমি এক নম্বর অলরাউন্ডার। সম্ভবত যতটা কৃতিত্ব আমার প্রাপ্য, ততটা আমি পাই না, কে জানে!”
টেস্ট অলরাউন্ডারদের র্যাঙ্কিংয়ে হোল্ডারের ঠিক পরেই আছেন স্টোকস। তবে এক ও দুই নম্বরের মধ্যে ব্যবধান সুস্পষ্ট। ৪৭৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে হোল্ডার, ৪০৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে স্টোকস। তবে ব্যক্তিগত লড়াইয়ের চেয়ে ক্রিকেটে মন দিতেই বেশি আগ্রহী হোল্ডার।
“ আমি আসলে এসবের মধ্যে খুব একটা পড়তে চাই না। সাংবাদিকরা তাদের মতো করে গল্প লিখবেন, আমি এখানে আছি কেবল ক্রিকেট খেলতে। হ্যাঁ, স্টোকসের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী বা বিশ্বজুড়ে এধরনের সব প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে লড়াইটা দারুণ ব্যাপার।”
র্যাঙ্কিংয়ে যেমন এগিয়ে হোল্ডার, তেমনি নেতৃত্বের অভিজ্ঞতায়ও। নিজের ৪০ টেস্টের ৩২টিতেই নেতৃত্ব দিয়েছেন হোল্ডার। স্টোকস খেলতে নামবেন ৬৪তম টেস্ট, কিন্তু নেতৃত্ব দেবেন প্রথমবার। নিয়মিত অধিনায়ক জো রুট ছুটিতে থাকায় প্রথম টেস্টের জন্য এই দায়িত্ব পেয়েছেন স্টোকস। নেতৃত্বের জায়গায় স্টোকসের জন্য হোল্ডারের পরামর্শ আছে কিছু? ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক আপাতত প্রয়োজন দেখছেন না।
“ সিরিজ শেষে স্টোকসকে পরামর্শ দেব আমি। সামর্থ্যবান একজনের কাঁধেই ইংল্যান্ডের দায়িত্ব পড়েছে। সে অসাধারণ এক ক্রিকেটার, দারুণ একজন প্রতিযোগী এবং আমি নিশ্চিত, ইংল্যান্ডের ড্রেসিং রুমে সবাই তাকে অনুসরণ করে। তাকে সাহায্য করার জন্য অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও আছে দলে। নেতৃত্বের এই এক ম্যাচের জন্য তাকে শুভ কামনা জানাই।”