‘মুশফিকের আবেগ থেকেই আসে নাগিন ডান্স বা উদযাপন’

কখনও নাগিন ডান্স, কখনও আবার অন্য কোনো উদযাপন। ম্যাচ জয়ের আগেই উদযাপন করে শেষ পর্যন্ত হেরে যাওয়া কিংবা ভারতের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের ছবির সঙ্গে সেলফি। নানা সময়ে আরও অনেক কথা কিংবা প্রতিক্রিয়া, সব মিলিয়ে মুশফিকুর রহিম আলোচনার জন্ম দিয়েছেন অনেক। সাকিব আল হাসানের মতে, এই সবকিছুর উৎস মুশফিকের ভেতরের আবেগ ও সবসময় জিততে চাওয়ার তাড়না।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2020, 08:08 AM
Updated : 24 June 2020, 01:36 PM

ক্রিকেট ওয়েব সাইট ক্রিকবাজে ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলের সঙ্গে সাকিবের সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে উঠে এলো ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ। শেষ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে টানা দুটি বাউন্ডারি মেরে উদযাপন শুরু করেছিলেন মুশফিক। বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল তখন ৩ বলে ২ রান। কিন্তু পরের দুই বলে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর বিদায় ও শেষ বলে মুস্তাফিজুর রহমানের রান আউটে বাংলাদেশ হেরে যায় ১ রানে।

সাকিবের সঙ্গে কথোপকথনে হার্শা ফিরে গেলেন সেই ম্যাচে। নানা সময়ে মুশফিকের আরও অনেক প্রতিক্রিয়ার কথা তুলে ধরে হার্শা বললেন, “ছোট শরীরে মুশফিক একটা ডায়নামাইট!” সাকিব হাসতে হাসতে জানালেন, মুশফিকের এসব আচরণের শেকড় লুকিয়ে তার ভাবনা ও আবেগে।

“ সে (মুশফিক) খুবই আবেগপ্রবণ (ইমোশনাল), এই শব্দটিই আমি ব্যবহার করতে চাই। খুবই আবেগময় এবং সবকিছুই সে নিজের দিকে নিয়ে নেয়। সবসময়ই মনে করে, তার কারণেই এটি হয়েছে বা ওরকম হয়েছে। সবময়ই নিজেকে মেলে ধরতে চায়। সবকিছু নিজেই করতে চায়। এরকম ভেবে সে নিজের ওপর অনেক চাপ নিয়ে নেয়। তবে সে এরকমই।”

“ আমাদের দলের সবচেয়ে কঠোর পরিশ্রমী ছেলে সে। এত পরিশ্রম করে বলেই ব্যর্থতা মেনে নিতে চায় না। অনেক কিছুর মিশ্রণ আসলে এটি। যা বললাম, আমি মনে করি সে খুবই আবেগময়। তার সেসব আবেগই ফুটে ওঠে সেই নাগিদ ডান্স বা উদযাপন বা কোনো কথায়। আমাদের জন্য এসব খুবই মজার। তবে আমরা পুরোপুরি বুঝতে পারি, ওসব কথা বা প্রতিক্রিয়া কোত্থেকে আসে।”

সাকিব জানালেন, ভারতের বিপক্ষে ১ রানে হারের ওই ম্যাচ থেকে তারা অনেক বড় শিক্ষা পেয়েছেন।

“ আসলেই অনেক সময় লেগে যায়… (সামলে উঠতে)। এখনও ওই হার আমাদের ভাবনায় আসে। যখনই কোনো ম্যাচে আমরা জয়ের কাছাকাছি থাকি, ওই ম্যাচই সবার আগে মনে পড়ে। ওই হার আমাদের জন্য বড় ধাক্কা যেমন ছিল, তেমনি শিক্ষারও অনেক কিছু ছিল। শেষ হওয়ার আগে শেষ নয়, এই মানসিকতা এখন আমাদের আছে। কাজ শেষ হওয়ার আগেই উদযাপন এখন আমরা করি না।”